কবিগুরুর সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন এক ভদ্রলোক। তিনি শুনেছিলেন ইদানিং কবি কানে একটু কম শুনছেন। সাক্ষাতের সময় রবীন্দ্রনাথ ভদ্রলোককে নাম জিজ্ঞেস করতেই তিনি সজোরে চিৎকার করে বলেন, ‘কানাই’। রবীন্দ্রনাথ মৃদু হেসে বলেন, ‘সানাই হলেই তো ভালো হতো!’
.
.
দাদাঠাকুরের আসল পরিচয় দিয়ে মহামোহপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রীমশাই লিখেছিলেন, ‘বিদূষকের এডিটর, প্রুফ রিডার, কম্পোজিটর, ডেসপ্যাচার—- তিনি কেবল সাবস্ক্রাইবার নন। সেকালে ভাঁড়ের কথা শুনেছিলুম তিনি সেই ভাঁড়। তিনি খুব তেজস্বী ব্রাহ্মণ, বেশ মিষ্টি করে সকলকে হক কথা শুনিয়ে দেন।’
.
.
শরৎচন্দ্র তখন খ্যাতির মধ্যগগনে। এসময় দ্বিতীয় এক শরৎচন্দ্রের আবির্ভাব হয়। ইনি ছিলেন গল্পলহরী মাসিক পত্রের সম্পাদক। বেশ কয়েকটি উপন্যাসও উনি রচনা করেন। এঁর কারণে আসল শরৎচন্দ্রের সুনাম কিছুটা ক্ষুন্ন হয়। এ সময় একদিন এক বাল্যবন্ধুর সঙ্গে দেখা শরৎচন্দ্রের। বন্ধু তো তার মুখের দিকে হাঁ করে চেয়ে রইলেন।শরৎচন্দ্র তাই দেখে বললেন, ‘কিহে, চিনতে পারছ না, আমি শরৎ।’ বন্ধু রসিকতা করে বললেন, ‘আজকাল সাহিত্যের বাজারে দুজন শরৎচন্দ্রের আবির্ভাব ঘটেছে, তুমি কোনজন?’ শরৎচন্দ্র রসিকতা করে জবাব দিলেন, ‘চরিত্রহীন।’
.
.
নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু একবার মঞ্চে বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। বক্তৃতা চলাকালীন সুভাষচন্দ্রের বিরোধী পক্ষের একজন শ্রোতা হঠাৎ তাঁকে লক্ষ্য করে এক পাটি জুতো ছোড়ে। সুভাষচন্দ্র বক্তৃতা থামিয়ে শ্রোতাদের দিকে তাকিয়ে বললেন, ‘আপনি দয়া করে অপরপাটি জুতোটাও ছুড়ে দিন। না হলে, এক পাটি জুতো আপনি পড়তে পারবেন না, আমারও এটা কোন কাজে লাগবে না।’ সভায় হাসির রোল পড়ে গেল।
সংগৃহীত