প্রেম ও বৈরাগ্য

আশিস ভৌমিক

লেখক পরিচিতি

 (জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন ।  প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।

– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)

কবীর কথা :-

অবতো জরে মন বন আরে

লিনহি হাথ সিনধুয়া

প্রীত প্রতীত করো দৃঢ় সাঁইকি

শুনো শব্দ ঘনঘোরা ।

অগিন জ্বরে না সতী বনাহই

রন যুঝে নঁহি সূরা

বিরহ অগিন অন্দর জারৈ

তব পাবৈ পদ পূরা ।

য়হ সংসার সকল জগ মৈলা

নাম গহে তেহি সূচা

কহৈ কবীর ভক্তি মত ছাড়ো

গিরত পড়ত চর উঁচা ।।

অনুবাদ :-

প্রিয়তমা.

           এসেছো বন্ধুর পথে

দৃঢ় প্রত্যয় আর গভীর প্রেম রেখো 

অতলান্ত দুই চোখে ।

অগ্নিতে পুড়লেই সতী হয়না

বীর হওয়া যায় না কেবল যুদ্ধক্ষেত্রে ।

জ্বালা যন্ত্রনার সংসার সীমান্তে

কতটা পুড়েছ বিরহ অনলে ?

দগ্ধ হয়েছে কি অন্তর 

প্রেম হুতাশনে ?

ওই শোন, ঘনঘোর বাদ্য

এ মলীন জগৎ সংসারে ডুব দিয়ে 

তুলে নাও সিঁদুর পাত্র ।

.

কবীর বলেন, ভক্তিকে ছাড়িওনা !

চড়াই উৎরাই পথে ওপরে উঠে এস

কন্ঠলগ্না হও ।

কবীর কথা :-

সাঁইঘর দাগ লগায় আঈ চুংদরী

উ রংগরেজরা কো মবম ন জানৈ,

নহী মিলৈ ধোবিয়া কৌন করৈ উজরী ।

পহির ওড়কে চলি শ্বশুরিয়া

গৌঁরা কে লোগ কহৈঁ বড়ী ফুহরী ।

অনুবাদ :-

তোমরা যে দেখ এত রঙ আমার ওড়নায়

সেই সব রঙ দিয়েছে আমায় স্বামী সংসার ।

কীভাবে যে লাগে এত রঙ আমার বসনে !

তার রহস্য আমার অজানা ।

জানি, কোনো রজকই উঠাতে পারবে না 

সে রঙ কোনওদিন ।

.

আমি সেই বসন পরিয়াই স্বামী গৃহে চলিয়াছি

গ্রামের লোকে আমাকে মূঢ় বলে ।

দোহা ;-

দস দুয়ারে কা পিনজরা তা মে পনছি পওন

রহিবে কো আচরজ হ্যায় জায়ে তো আচরজ কওন

অনুবাদ:-

দশ দুয়ারি পিঞ্জরে রয় অচিন পাখি খানি

চলে গেলে অবাক কেন ? তার থাকাটাই ঋণী।

(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *