মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ

আশিস ভৌমিক

লেখক পরিচিতি

 (জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন ।  প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।

– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)

৬১

নজর লগে না কঁহি উসকো দন্তো-বাজু কো

ইয়ে লোগ কিঁউ মেরে জখমে জিগর কো দেখতে হ্যায় ।

সবার নজর কেন লাগে 

তোমার সুগঠিত বাহু আর দেহের ভঙ্গিমায় !

তাদের চোখ পড়েনা কেন ?

আমার আহত মন আর বেদনার্ত কলিজায় ।

৬২

মেহেরবাঁ হোকে বুলা লো মুঝে চাহো মিস বকত্

ম্যায় গয়া বকত্ নহীঁ হুঁ কে ফির আভী না সকুঁ ।

দয়া করে আমাকে ডেকে নিও যেকোনো সময় 

কবিতা-আড্ডা-জলসায় ।

আমি তো বিগত সময় নই

ফিরে আসতে পারব না তোমাদের জমানায় !

৬৩

তুম্ অপনে শিকবেকী বাতে না খোদ্ খোদকে পুঁছো

হজর করো মেরি দিল্ সে , কি ইসমে আগ্ দবী হ্যায় ।

তুমি সব অভিযোগের উত্তর খুঁজতে যেয়ো না হৃদয় খুঁড়ে 

তুষের আগুন আজও ধিকি ধিকি জ্বলে ছাই চাপা পড়ে ।

৬৪

সায়া মেরা মুঝসে মিস্লে-দূদ্ ভাগে হ্যায় ‘অসদ্’

পাস্ মুঝ আতিস বজাঁকে কিসসে ঠহরা ভাগে হ্যায় ।

যে ছিল আমার ছায়া , সরে যায় ধীরে ধীরে 

মন পাখি বোবা চোখে পুড়ে যায় কুরে কুরে ।

৬৫

কসম্ মেরে জনাজাপে আয়েকী , মেরে খাতে হ্যায় “গালিব “

হামেশা খাতে থে জো , মেরি জান কী কসম্ আগে ।

শপথ করেছো বহুবার আমার নামে , সেটা মানিও

শবাধার পাশে তাই একবার আসিও ।

৬৬ 

যাতে হুয়ে কহতে হো কায়ামত্ কো মিলেঙ্গে

ক্যা খুব কায়ামত্ কা হ্যায় গয়া কোই অওর ।

যাওয়ার সময় বলেছিলে , দেখা হবে আবার শেষ বিচারের দিনে

তবে তো পাবো সুযোগ , হবে মোলাকাত আরো একবার দুজনার সনে ।

৬৭

দিল্ সে নিকলা পর ন নিকলা দিলসে

হ্যায় তেরা তীর কা পৈকান অজীজ – ।

হৃদয় চিরে বেরিয়ে গেল তবুও হৃদয়েই থেকে গেলে

তীরের ফলাটি বড় প্রিয় হৃদয় রাঙিয়ে গেলে ।

৬৮

লাজিম্ থা কি দেখো মিরা রস্তা কোই দিন অওর

তনহা গয়ে কিঁউ অব রহো তনহা কোই দিন অওর ।

উচিত কি ছিলনা তোমার ? কিছুদিন রয়ে যেতে আরও 

একলা চলে গেলে – আরও কিছুদিন একলাই মেনে নিও ।

৬৯

বু-এ-গুল , নালা-এ-দিল , দুদে চিরাগ-এ-মহফিল

যো তেরি বজমসে নিকলা সো পরিশাঁ নিকলা ।

ফুলের সুগন্ধ , হৃদয়ের শ্বাস আর মহফিল রোশনাই 

তোমার আঙিনা ছাড়া দিগভ্রান্ত হয়ে যাই ।

৭০

গুচাঁ ফির লগা খিলনে আজ হমনে আপনা দিল

খুঁ কিয়া হুয়া দেখা গুম কিয়া হুয়া পায়া ।

সুন্দরী কলিরা ফুটল আবার , হৃদয়ে পলাশ রাঙালো

আমি দেখলাম ; ভালোবাসলাম , ভালবাসায় হারিয়ে গেলাম ।

(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *