মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ

আশিস ভৌমিক

লেখক পরিচিতি

 (জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন ।  প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।

– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)

৫১

মাঙ্গে হ্যায় ফির কিসিকো লবে বাম পর হুওবস্

জুলফে সিয়াহ্ রুখপে পরেশাঁ কিয়ে হুয়ে ।

মন চায় কারুকে আবার ঠোঁটের কোণে জমে থাকা কামনায়

‘ চুল তার কবেকার অন্ধকার ‘ ঝরে পড়ে উচ্ছসিত চন্দ্রিমায় ।

৫২

বিজলী ইক্ কৌন গই আঁখোকে আগেতো ক্যা 

বাত করতে কি ম্যায় লব-এ-তিশনা তকরীর ভী থা ।

তুমি হেঁটে গেলে রুপের বিভায় চোখে বিজলী চমকায়

অধরে লেগে থাকে তৃষা একান্তে কথা বলি দুজনায় ।

৫৩

দিল্ হি তো হ্যায় না সঙ্গো-খিশু দর্দসে ভরনা যায়ে কিঁউ 

রোয়েঙ্গে হম্ হজারবার কোই হমে সতায়ে কিঁউ ?

এ তো একটা হৃদয় ; পাথর তো নয় !

বেদনায় ভরে উঠবেনা  কেন ?

কাঁদতে পারি আমি হাজার বার

কিন্তু কেউ কাঁদাবে কেন ?

৫৪

দিয়া হ্যায় দিল অগর উসীকো , বশর হ্যায় ক্যা কহিয়ে

হুয়া রকীব তো হো , নামাবর হ্যায় ক্যা কহিয়ে ।

দিয়েছে হৃদয় সে আমার প্রিয়াকে , যদিও দূত পরিচয় 

কী আর বলব তাকে , তারও ছিল এক প্রেমিক হৃদয় ।

৫৫

ম্যায়নে মানা কি , কুছ নহীঁ গালিব

মুখ্ত হাথ্ আয়ে , তো বুরা ক্যা হ্যায় ।

মানি , আমার এ হৃদয় মূল্যহীন যেন

তবুও যা দিচ্ছি বিনামূল্যে , তা নেয় না কেন ?

৫৬

করতা হুঁ জমা ফির জিগর-লখত-লখত কর

অরসা হুয়া হ্যায় দাবত-এ-মিজগাঁ কিয়ে হুয়ে ।

টুকরো টুকরো ভাঙা হৃদয় জুড়েছি আবার এ কোন দুরাশায়

প্রত্যাশি প্রেম , কবে পাব আমন্ত্রণ তোমার আঁখি পল্লব ইশারায় ।

৫৭

ম্যায় নামুরাদ দিলকি তসল্লী ক্যা করুঁ

মানা, কি তেরি রুখসে নিগহ্ কাময়াব হ্যায় ।

হায়রে হতভাগা মন , কী আছে সান্ত্বনা তোর ?

ধন্য এ চোখ তার রুপসুধায় হয়েছে বিভোর ।

৫৮

থা খোয়াবমে খয়ালকো তুঝসে মুয়ামলা ,

যব আঁখি খুল গই না জিয়াঁ থা না সুদ থা ।

সে ছিল আমার স্বপ্নের কোজাগরী 

না থাকে লাভ না লোকসান যখনই চোখ মেলি ।

৫৯

করে হ্যায় কতল লখাবটমে তেরা রো দেনা

তেরী তরহা কোই তেগ-এ-নিগহ্কো আব তো দো ।

ভালবাসার অশ্রুজল বিদীর্ণ করে হৃদয় বারবার 

ছলছল চোখ শানিত তরবারি কম নয় ক্ষুরধার ।

৬০

জঁহা তেরা নকশ্-এ-কদম দেখতে হ্যায়

খোঁয়াবা খোঁয়াবা ইলম্ দেখতে হ্যায় ।

তুমি যে পথে যাও চলে সেটাই তো স্বর্গোদ্যান

ফুটে ওঠা পারিজাত পদচিহ্নে রাখে প্রমাণ ।

(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *