মাসুদ খান

হে সর্বজনীন ডোম, হে অনন্ত অন্তেষ্ট্যিক্রিয়ার কারক,

সৎকার করবে আর কতটি শবের?

বংশবেগে বেড়েই চলেছে পঙ্গপাল। পঞ্চত্ব পাবার পরেও দ্যাখো

সবকিছু কেমন বহুগুণিত হয়ে ফিরে আসছে চক্রাকারে,

কোনোরূপ অডিট বা স্ক্রিনিং ছাড়াই।

.

অথচ ওম্ থেকে শুরু হয়ে ডোম অব্দি পৌঁছতে

কত কী যে পার হয়ে আসতে হয় বাস্তবিক–

দজ্জাল ঝড়ের রুক্ষ রোমশ মেজাজ, মরীচিকার মিথ্যাচার,

দুঃসহ বিয়োগব্যথা, সাধুর বকবৃত্তি, নিদারুণ আস্থা-ঘাটতি,

সিঁথিবদ্ধ সিঁদুর থেকে জেগে-ওঠা আভা…

.

মাঝখানে চন্দনের গাছে আগুন লেগেছে ওই সুগন্ধি আগুন।

ফাঁকতালে ব্যক্তিত্বকে একা ফেলে ভেগে গেছে ব্যক্তি।

কখন যে ধরা পড়ে, সেই ভয়ে

এবং অচেনা এক অস্বস্তিতে কুঁকড়ে থাকে অনাথ ব্যক্তিত্ব।

আর এরই মাঝে “তুমি হইয়ো ফুল রে বন্ধু আমি হবো হাওয়া

দেশ-বিদেশে ঘুরব আমি হইয়া মাতেলা।”

এরই মাঝে গো-বলয়ের গেরুয়ার সঙ্গে সমঝোতা 

পুবদেশের ‘অহিংস’ গেরুয়ার। 

বাঁকা কাস্তের সঙ্গে কী প্রকার বোঝাপড়া তবে

কথিত ‘শান্তি’র বাঁকা তলোয়ারের?

মাঝখান থেকে হবে রণক্ষেত্র স্থানান্তর, নিশ্চিত এশিয়া থেকে ক্রমশ ইউরোপে…  

.

ইতিহাস জুড়ে এইসব গন্ধকৃতি আর চির-পক্ষপ্রীতি…

তবে আলো পড়বে যেই, সরে যাবে গন্ধ, মুছে যাবে পক্ষ, নেত্র, বাণ

যদিও এ কথা সর্বগত– ঘটনামাত্রই নিত্য ক্ষুরধার, খরসান

যেমন বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ হলে ছিঁড়ে দু-ভাগ হয়ে যায় সন্তান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *