বাসব দাশগুপ্ত
১
এইবার সরাসরি তোমাকে কিছু কথা বলব
হে আমার অনুপস্থিত ছায়া, দীর্ঘ হতে হতে
তুমি কৃষ্ণে মিশেছ, জনহীন রাস্তায় বরফ ভাঙছে
অপরিচিত, শ্বাসশব্দের বাজনা দূরান্তর থেকে
ভেসে আসছে
একটা ঘরের মধ্যে মুষ্ঠিযোদ্ধারা পরস্পরকে
আঘাত করার চেষ্টায় মানুষ থেকে নেকড়ে,
নেকড়ে থেকে চিতাবাঘে রূপান্তরিত হচ্ছে, ওরা হাঁপাচ্ছে
ঘামে ভেজা শরীর নৃত্যরত, কেউ একজন চিৎকার করে
বলছে, সভ্যতা সভ্যতা
একটা আসন পাতো, পাশে একটু ফুল-বিল্বপত্র
আমি স্নান করে আসি, পিতার ছেড়ে যাওয়া পোশাক
গায়ে, হে আমার কৃষ্ণবর্ণ গোপন সত্তা, দেখো আমি
খুলে রেখেছি ভয় পাওয়ানো চোখ, কাটমানির টাকা
তোমাকে বলা মানে তো আত্মতর্পণ
২
গ্রাম ভাঙছে, শহরতলি ভাঙছে, বিশ্বাস ভেঙে
ছড়িয়ে যাচ্ছে রাস্তায়, তার উপর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে
একজন, এগিয়ে যাচ্ছে যেখানে গতরাতে কয়েকটি
বাড়ি পুড়ে গেছে, নিশ্চয় কয়েকজন সাহায্য
চেয়েছিল, এখনও ওদিকে হাহাকার চাপা আছে
পাথরের নীচে, ওখানে ভয় আছে, ফোঁপানির শব্দ
শোনা যায়, লোকটির কাছে তুমি নির্লিপ্তি
আশা করে অতীতের দিকে আঙুল তুলেছ
অনেক তামাশা দেখা হল, ডুগডুগি বাজিয়ে
নাচ হল, এখন স্থির হও, প্রশ্ন তুলছে যারা
তাদের আবছা মুখে আলো ফেলো, ওদের সঙ্গে
দাঁড়াও, দেখো মশালবাহিত কণ্ঠ যেন
তোমাকেও স্পর্শ করে