অমিতাভ সরকার

ও কেন গেল চলে

পঙ্কজকুমার মল্লিক

তিনের দশক। এক সময় রবীন্দ্রনাথের কাছে খবর গেল, একটি যুবক কবির ‘খেয়া’ কাব্যগ্রন্থের ‘শেষ খেয়া’ কবিতাটি নিজে সুর দিয়ে গেয়ে বেড়াচ্ছে। রবীন্দ্রনাথের গানে সুর দিতে গেলে যে কবির অনুমতি লাগে, যুবকটি সেটা জানতো না। বাড়িতে লোক পাঠিয়ে রথীন্দ্রনাথ একেবারে জোড়াসাঁকোয় ডেকে পাঠালেন। সেই প্রথমবার। রবীন্দ্রনাথকে দুরু দুরু বুকে গানটি শোনালে কবি কিছুক্ষণ চোখ বন্ধ করে রইলেন। কেমন লাগলো জিজ্ঞেস করার সাহস হয়নি। তারপর অনেক বছর পরে আরেকবার। যথা সময়ে কবির কাছে রেকর্ডকৃত গানটি পৌঁছেও গেল। সেবার রবীন্দ্রনাথ নিজে এসে দেখা করলেন । 

সেদিন সে প্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশের বরানগরের বাড়ি ‘আম্রপালি’তে কবিগুরুকে গানটি শোনালে তিনি খুশি হয়ে গানটি চলচ্চিত্রে ব্যবহারের অনুমতি দেন। তখনও রবীন্দ্রসঙ্গীত চলচ্চিত্রে ব্যবহার করা শুরু হয়নি। রবীন্দ্রসঙ্গীত নিয়ে কোনো কাজ করতে গেলে তখন স্বয়ং রবীন্দ্রনাথের অনুমতি নিতে হতো। 

রবীন্দ্রনাথের সব গানের কথা ও সুর তাঁর নিজেরই। যে সময়, অন্য কেউ তাতে সুর বসালে কথা পরিবর্তন করলে সেটা কবিগুরুকে অবমাননার সামিল হতো, সেই সময় দাঁড়িয়ে এই যুবকটি বাংলা চলচ্চিত্রে উক্ত গানটি ব্যবহারের জন্য কবির সম্মতি আদায় করেছিলেন, সে সময় ব্যাপারটা বেশ দুঃসাহসিক ছিল।

শুধু তাই নয়, আরো রবীন্দ্র-কবিতায় সুর করার সম্মতিও কবির থেকে নিয়ে এসেছিলেন। সেদিনের এই যুবকটির নাম পঙ্কজ কুমার মল্লিক। পরবর্তীকালে একরকম তাঁর হাত ধরেই বাংলা চলচ্চিত্রে রবীন্দ্রসঙ্গীতের ব্যবহার শুরু হয়। এছাড়া রবীন্দ্রসঙ্গীতে তবলার সঙ্গত করা, এমনকি হারমোনিয়াম, পিয়ানোসহ অন্যান্য বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহারে আধুনিকতা দেখানো, অর্কেস্ট্রেশনের গুরুত্ব উপলব্ধি করে রবীন্দ্রপরিমণ্ডলের বাইরে বৃহত্তর জনমানসে রবীন্দ্রসঙ্গীত আরও জনপ্রিয় করতে পঙ্কজকুমার মল্লিকের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাছাড়া গায়ক হিসাবে শাস্ত্রীয় সঙ্গীত, ভজন, গীত, আধুনিক গান, লোকগান সবই গেয়েছেন। 

সিনেমাটির নাম ছিল ‘মুক্তি’। সিনেমার গল্প তার মুখে শুনে কবিগুরুই এই নাম দেন। সিনেমার প্রয়োজনে ‘দিনের শেষে’ গানটির কিছু কথা পরিবর্তনের পরামর্শও দেন, এছাড়া ‘আমি কান পেতে রই’,’তার বিদায়বেলার মালাখানি’ গানদুটিও রবীন্দ্রনাথের অনুমতিক্রমে ‘মুক্তি’ সিনেমায় ব্যবহার হয়েছিল। সিনেমাটিতে গানদুটো পঙ্কজ মল্লিক আর কানন দেবী গেয়েছিলেন। ‘দিনের শেষে ঘুমের দেশে’ গানটি সিনেমায় পঙ্কজকুমারই গেয়েছিলেন। এইভাবে পরিচালক প্রমথেশ বড়ুয়া, পঙ্কজ মল্লিক, কানন দেবী এঁদের হাত ধরে বাংলা সিনেমায় প্রথম ব্যবহৃত হয় এই তিনটি রবীন্দ্রসঙ্গীত। বিষয়টা আজকে ভাবলে অনেক সহজ মনে হবে। কিন্তু সেই দিনের কথা ভাবলে ব্যাপারটা বেশ বৈপ্লবিক এবং সাহসেরও ছিল। বর্তমান প্রজন্ম পঙ্কজকুমার মল্লিককে সেই ভাবে চেনেই না। চিনলেও বড়োজোর ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-র সুরকার হিসাবে। ব্যস, ওইটুকুই। কিন্তু সেই দিনে পঙ্কজকুমার মল্লিকই ভারতীয় চলচ্চিত্রের প্রথম সঙ্গীত পরিচালক হিসাবে সম্মানিত ব্যক্তিত্ব ছিলেন। অভিনেতা, কণ্ঠশিল্পী এসব পরিচয় বাদ দিয়েও এই বিনয়ী, নম্র, সদাশয় মানুষটির বিবিধ কর্মকাণ্ড আজ অনেকেই বিস্মৃত হয়েছেন।

জন্ম কালিঘাট। ১০ ই মে, ১৯০৫। বাবা মণিমোহন মল্লিক, মা মনোমোহিনী দেবী। নিষ্ঠাবান বৈষ্ণব পরিবার। বাবার থেকেই সঙ্গীতের প্রতি তাঁর এই অনুরাগ তৈরি হয়। বাবার ইচ্ছেয় গান শেখা শুরু পণ্ডিত দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে। সেখানেই ‘চয়নিকা’ বই থেকে রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে প্রথম পরিচয়। পরিচিতমহলে রবীন্দ্রনাথের কবিতাগুলো সুর করে গেয়ে বেড়াতেন। ম্যাট্রিকুলেশন পাশ করে বঙ্গবাসী কলেজ, আর সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করে সঙ্গীতেই আত্মনিয়োগ করেন। ওই সময়ে দিনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের সঙ্গে পঙ্কজ মল্লিকের সখ্য গড়ে ওঠে। দিনু ঠাকুর রবীন্দ্রনাথের সম্পর্কে নাতি, এবং রবীন্দ্রসঙ্গীতের স্বরলিপিকার ও সঙ্গীত প্রশিক্ষক ছিলেন। তখন থেকেই রবীন্দ্রসঙ্গীতের প্রতি পঙ্কজকুমারের আগ্রহটাও বাড়তে থাকে। প্রথম গান, ১৯২৬ সালে ভিয়েলোফোন কোম্পানি থেকে রেকর্ড করা ‘নেমেছে আজ প্রথম বাদল’। ১৯৩১-এ রেকর্ডকৃত প্রথম রবীন্দ্র গান ‘প্রলয় নাচন নাচলে যখন’ আর ‘তোমার আসন শূন্য আজি’। 

সেই সময় মধ্যবিত্ত পরিবারে গান গেয়ে জীবনযাপন করাটাকে ভালো চোখে দেখা হতো না। তাছাড়া তখন পঙ্কজ মল্লিকের পরিবারের অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না। আর্থিক কারণে বন্ধুর দোকানে দর্জির কাজ, রেলের অফিসে কেমিস্টের কাজ,  এমনকি পাটের দালালি পর্যন্ত করতে হয়েছে। পরিবারে চল্লিশ জন মানুষ। সবার ভরণপোষণের চিন্তা মাথায় নিয়েও শুধুমাত্র অধ্যাবসায়, বিশ্বাস, আর সাহসের জোরে, পঙ্কজকুমার মল্লিক রেকর্ডে গান গাওয়া শুরু করেন। ১৯২৭ সালে ইন্ডিয়ান ব্রডকাস্টিং করপোরেশনে কাজ শুরু করেন। পরে এই সংস্থার নাম হয় অল ইন্ডিয়া রেডিও। এই আকাশবাণীতে অর্ধশতক কাল নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী এবং সঙ্গীত পরিচালকের কাজ করেছিলেন। রেডিওতে নাট্যকার হিসাবে যেমন কাজ করেছেন, তেমনি আরেকটি উল্লেখযোগ্য কাজ হলো- সঙ্গীত শিক্ষার আসরও পরিচালনা করা। সেখানে সঙ্গীত শিক্ষক হিসেবে যথেষ্ট অবদান রাখেন। তাছাড়া নিউ থিয়েটার্সের সঙ্গে পঁচিশ বছর কাজ করেছিলেন। ১৯৩১ সালে বাণীকুমার, বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র, রাইচাঁদ বড়াল, আর পঙ্কজকুমার মিলে মহালয়ার দিনে বিশেষ প্রভাতী অনুষ্ঠান ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ শুরু করেন। ১৯৩১ থেকে ভারতীয় চলচ্চিত্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন। যেমন- নেপথ্য কণ্ঠসঙ্গীতের ব্যবহার, ইন্টারল্যুডের ব্যবহার, দৃশ্যপট অনুযায়ী গানের আবহ তৈরি, উপযুক্ত গানের নির্বাচন ইত্যাদি। রাইচাঁদ বড়াল, নীতিন বোস এবং তিনি এই অগ্রণী ভূমিকায় ছিলেন। বাংলার পাশাপাশি হিন্দি, তামিল, উর্দু চলচ্চিত্রেও কাজ করেছেন। কুন্দনলাল সাইগল, প্রমথেশ বড়ুয়া, কানন দেবী প্রভৃতি কিংবদন্তীর সঙ্গে অভিনয়ও করেছেন যেমন, তেমনই আশা ভোঁসলে, লতা মঙ্গেশকর, শচীন দেব বর্মন প্রভৃতি শিল্পীদের সঙ্গেও কাজ করেছেন। হেমন্ত মুখোপাধ্যায় তো পঙ্কজ মল্লিককে গুরু মানতেন। হেমন্তের প্রথম দিকের রেকর্ডকৃত গানগুলোয় পঙ্কজ মল্লিকের প্রভাব লক্ষ করা যায়। তাঁকে ‘ছোট পঙ্কজ’ বলা হতো। পরে হেমন্ত গুরুর প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে নিজস্ব গায়কী তৈরি করেন এবং যশস্বী হোন।   

কে এল সায়গলকে রবীন্দ্রসঙ্গীত শেখানো এবং সিনেমায় তা গাওয়ানো, কবিগুরুর অনুমতি নেওয়া – এ সবকিছুর কৃতিত্ব পঙ্কজ মল্লিকেরই। কিন্তু তিনের দশকের  শুরুর দিকে বেতারে শিল্পী ও সুরকার হিসাবে পঙ্কজকুমার এবং রাইচাঁদ বড়াল দু’জনে একসঙ্গে কাজ করলেও টাইটেল কার্ডে রাইচাঁদের নামটাই বড় করে থাকতো। প্রমথেশ বড়ুয়া আসার পর তিনি বিষয়টা লক্ষ্য করে নিউ থিয়েটারর্সের বীরেন্দ্রনাথ সরকারকে জানালে ‘মুক্তি’ সিনেমার সময় থেকে এই অবস্থার বদল হয়, অফিসও আলাদা করে দেওয়া হয়। যেহেতু দুঃসময়ে নিউ থিয়েটার্স তাঁর পাশে ছিল, কোনো প্রলোভনেই পঙ্কজকুমার নিউ থিয়েটারর্স ছাড়েননি। তখন বাংলা শিল্পীরা বোম্বে চলে যাচ্ছে। বোম্বে যাওয়ার পঙ্কজ মল্লিককে প্রস্তাব আসলেও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। রাজ কাপুর, জার্মান পরিচালক পল জিলস কেউই তাঁকে এই সিদ্ধান্ত থেকে টলাতে পারেনি। কিন্তু কিছুদিন বাদে অর্থাভাবে নিউ থিয়েটারস বন্ধই হয়ে গেলে পঙ্কজ মল্লিক ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের গ্রামীণ উন্নয়ন প্রকল্পে বিনোদন বিভাগের উপদেষ্টা হিসাবে যুক্ত হন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৬৮ সাল পর্যন্ত  ‘লোকরঞ্জন শাখা’য় যোগ দিয়েছিলেন। 

প্রায় পাঁচ হাজারের মতো গানে সুরারোপ করেছেন, দেড়শোর মতো চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন। ডাক্তার, মুক্তি প্রভৃতি তাঁরই অভিনীত চলচ্চিত্র। পরবর্তীকালে বাংলা না ছাড়াটাই পঙ্কজ কুমার মল্লিকের ভুল হয়েছিল। ১৯৭৬ সালে তদানীন্তন সরকারের চাপে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ রেডিওয়ে দীর্ঘ পঁয়তাল্লিশ বছর পর (১৯৩১ সাল থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠানটি মহালয়ার দিন ভোরে রেডিওতে সম্প্রচারিত হতো, এরমধ্যে ১৯৩১ থেকে ১৯৩৬ অবধি প্রত্যেকবার পরিমার্জন করা হতো, ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত সকাল চারটে থেকে বেতারে সরাসরি সম্প্রচার করা হতো, তবে ১৯৬৬ সালের পর থেকে রেকর্ডিং চালানো হয়, এখন আমরা যেটা শুনি সেটা ১৯৬৬ সালে রেকর্ড করা।) বন্ধ করে দেয়া হলো, 

(জনগণের বিপুল রোষ আর বিক্ষোভের কারণে পরের বছর থেকে আবার ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ প্রচারিত হয়, আজও সেটাই চলছে) এবং যে সংগীত শিক্ষার আসরে সাতচল্লিশ বছর ধরে গান শিখিয়ে এসেছেন, কেন্দ্রীয় অধিকর্তা হঠাৎ অনুষ্ঠানটি বন্ধ করার চিঠি ধরিয়ে দিলেন। দুটো ঘটনাই ওঁকে খুব আঘাত দিয়েছিল। ১৯৩১য়ে সুরসাগর, ১৯৬২তে সঙ্গীত রত্নাকর, ১৯৭০য়ে পদ্মশ্রী, ১৯৭২য়ে দাদাসাহেব ফালকে, ১৯৭৭য়ে রবীন্দ্র সঙ্গীতাচার্য পাওয়া, ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর পণ্ডিত জহরলাল নেহেরুর সরাসরি অনুরোধে প্রথম ‘জনগণমন’ গাওয়া এবং রেকর্ড করার বিরল কৃতিত্ব যাঁর হয়েছিল, ১৯৫৯ ভারতীয় দূরদর্শনের উদ্বোধনী সঙ্গীত গেয়েছিলেন যে পঙ্কজকুমার মল্লিক তাঁর জন্যে শেষের দিকে ওই কষ্টগুলো কি না পেলেই চলত না! পঙ্কজ মল্লিক মাত্র বাহাত্তর বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ১৯৭৮ সালের ১৯ শে ফেব্রুয়ারী মারা যান। ‘প্রিয়া মিলন কো জানা’(কপালকুণ্ডলা, হিন্দি), ‘ও কেন গেল চলে’, ‘চৈত্র দিনের ঝরা পাতার পথে’, ‘জনম মরণ জীবনের দুটি দ্বার’, ‘চলে যায় মরীচিকা মায়া’,‘কব তক নিরাশ কি অন্ধিয়ারি’,’আয়ি নিত ন্যায়ি রুত কি বাহার আয়ি’,’মাহাক রাহি ফুলওয়ারি হামারে কি’(ডাক্তার,হিন্দি), ‘ইয়ে রাতে ইয়ে মওসম’,’দো নাইয়া মতওয়ারে’(মাই সিস্টার), ‘গুজর গায়া ওহ জামানা’- অজস্র গানের মধ্যে থেকে পঙ্কজ মল্লিকের স্বকণ্ঠের কিছু গান। জলদগম্ভীর আওয়াজ, অনন্য স্বরক্ষেপন, গভীর সুরেলা ভাব -পঙ্কজকুমার মল্লিকের গানের বৈশিষ্ট্য। তাঁর গান শুনলে শ্রোতারা আজও একটা নিবিড়  আবেগে সংপৃক্ত হন। নিজেও খুব নিষ্ঠাবান এবং শৃঙ্খলাপরায়ন জীবনযাপন করতেন। কোনোদিন তার অন্যথা করেননি। কিন্তু উনি আরও কিছুদিন বেঁচে থাকলে বাংলা তথা ভারতীয় সঙ্গীতের অনেক উপকার হতো। 

শেষের কিছু কথা:

কিছু কথা শেষ হলেও শেষ হয় না। যেমন- পঙ্কজ মল্লিক স্মরণে কলকাতার রিচি রোডের নাম ‘পঙ্কজ মল্লিক সরণি’ রাখা হয়েছে। ২০০৬ সালে তাঁর নামে পশ্চিমবঙ্গ সরকার কর্তৃক স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করা হয়েছে। ২০১০ য়ে ম্যাডক্স স্কোয়ার পার্কে কলকাতা মিউনিসিপালিটি তাঁর একটি মূর্তি স্থাপন করে। জন্মশতবর্ষে তাঁর বাসভূমি ২/২ সেবক বৈদ্য স্ট্রিট, ডোভার টোরেস, বালীগঞ্জ, কলিকাতা-৭০০০১৯ -এই ঠিকানায় পঙ্কজ মল্লিক মিউজিক আর্ট অ্যান্ড ফাউন্ডেশন স্থাপন করা হয়। 

লকডাউনের সময় সাম্প্রতিক সময়ে পঙ্কজ মল্লিকের গাওয়া কিছু লাইভ কনসার্টের রেকর্ড আহমেদাবাদ থেকে আবিষ্কৃত হয়েছে। এগুলো রবীন্দ্রসঙ্গীতের হিন্দি ও গুজরাটি সংস্করণ, যা সারা ভারতে রবীন্দ্রসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করবার জন্য পঙ্কজ মল্লিক গেয়েছিলেন ১৯৬১ থেকে ১৯৬৫ -র মধ্যে। দর্শকদের অনুরোধে বাংলা রবীন্দ্র সঙ্গীতগুলোর পাশাপাশি হিন্দি ও গুজরাটি অনূদিত গানগুলো গেয়েছেন। গানগুলো ছিল-’এমনদিনে তোরে বলা যায়’,’সঘনগহন রাত্রি’,’হে মোর দেবতা’,’এসো হে বৈশাখ’, ‘তুমি কেমন করে গান করো’। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *