বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট ছিলেন। তাঁর এজলাসে একবার একটি মামলা ওঠে। জনৈক ব্যক্তি অন্য একজনের সম্পর্কে অভিযোগ জানিয়ে বলে যে তার স্ত্রীর ওপর দ্বিতীয় ব্যক্তি দৃষ্টিনিক্ষেপ করেছে। বঙ্কিমচন্দ্র জিজ্ঞেস করলেন, ‘সাক্ষী আছে ?’ প্রথম ব্যক্তি বলল, ‘হুজুর, আমার স্ত্রী-ই সাক্ষী। সে-ই দেখেছে।’ বঙ্কিমচন্দ্র মৃদু হেসে বললেন, ‘তাহলে দেখা যাচ্ছে যে তোমার স্ত্রীরও পরপুরুষের ওপর কটাক্ষপাত করা অভ্যেস আছে। নতুবা তিনি কেমন করে জানলেন যে এই ব্যক্তি তার প্রতি দৃষ্টি নিক্ষেপ করেছে ?’

.

.

অক্ষয় সরকার তখন ঢাকায় থাকেন। একদিন তিনি মেঘনাথবধ নাটক দেখতে গেছেন। সঙ্গে আছেন তাঁর বাবা গঙ্গাচরণ। মেঘনাথ বধ হওয়ার পর প্রমীলা সহমরণে যাওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন। রাবণ বক্তৃতা দিয়ে চলে গেছেন। মঞ্চে আর কোন জনপ্রাণী নেই। প্রমীলা বেচারা নিজেই নিজের চিতা ফুঁ দিয়ে জ্বালাতে লাগলেন। এই দৃশ্য দেখে অক্ষয় সরকার যথেষ্ট বিরক্তির সঙ্গে বলে উঠলেন, ‘এদের কি কেউ নেই নাকি ? ভৃত্য, পরিচারকেরা সব গেল কোথায়?’ তাঁর বাবা গঙ্গাচরণ তাই শুনে বললেন, ‘রাম কি আর কিছু বাকি রেখেছে ? পুরো রাক্ষসপুরী শূন্য করে দিয়েছে।’ 

.

.

কোন এক বন্ধুর দ্বিতীয় পক্ষের বিয়েতে গিয়েছিলেন রজনীকান্ত সেন। বিয়ের পর ফেরার পথে নববধূর প্রবল জ্বর হয়েছিল। বন্ধুটি থার্মোমিটারে জ্বর পরীক্ষা করে দেখলেন, তারপর রজনীকান্তকে এসে জানালেন, ‘জ্বর ১০৩ হয়েছে।’ রজনীকান্ত হেসে বললেন, ‘আগেও এক সতীন, এখনও ১০৩।’

.

.

এক ভোজের আসরে গেছেন নজরুল। পরিবেশন চলছে, প্রায় শেষের দিকে। এমন সময় একজন পরিবেশনকারী লুচির ঝুড়িটা হাতে নিয়ে নজরুলের কাছে এসে বললেন, ‘আর লুচি দেবো ?’ শুনে নজরুল বললেন, ‘না, আর লুচি লাগবেনা।  আমি বেলুচিস্তানের লোক।’

সংগৃহীত 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *