শরৎচন্দ্র রেঙ্গুন থেকে ফিরে এলেন দাড়ি নিয়ে, সেই দাড়ি আর কাটেন না। হঠাৎই একদিন আবার সব দাড়ি কেটে ফেললেন। তাঁর এই দাড়ি কাটার কারণটা তিনি বলেছিলেন সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায়কে। লম্বা দাড়ি নিয়ে একদিন ট্রেনে কোথাও যাওয়ার সময় তার ঠিক পাশে বসেছিলেন এক মুসলমান ভদ্রলোক। তো তিনি শরৎচন্দ্রকে তাঁর মত মুসলমান ভেবে খুব খাতির করে এক খিলি পান বাড়িয়ে ধরে বললেন, ‘ভাই সাহেব, এই নিন, পান খান।’ এই ঘটনার পরেই শরৎচন্দ্র দাড়ি কেটে ফেলেন।
.
.
সাহিত্যিক শিবরাম চক্রবর্তী কলেজ স্ট্রিটের দিলখুসা কেবিনে প্রায়ই চা-টা খেতে যেতেন। একবার চায়ের কাপ মুখে তুলেই তিনি বেয়ারাকে হাঁক পাড়লেন। বেয়ারা এসে সামনে দাঁড়াতেই তিনি বললেন, ‘এটা যদি চা হয় তবে আমাকে কফি দাও। আর এটা যদি কফি হয় তাহলে আমাকে চা দাও।’
.
.
বার্নার্ড শ’ যখন খ্যাতির শীর্ষে, তখনই তাঁকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। কিন্তু শ’ সে পুরস্কার গ্রহণ করেননি। রসিকতা করে বলেছিলেন, ‘আমি এবছর কোন বই লিখিনি—- সেই স্বস্তিতেই নোবেল কমিটি আমাকে পুরস্কৃত করেছে।’
.
.
বিশ্ব বিখ্যাত বৈজ্ঞানিক আইনস্টাইনের বাড়িতে গেছে এক সাংবাদিক। ঘুরে ঘুরে সব দেখেশুনে সে আইনস্টাইনকে প্রশ্ন করল, ‘আপনার গবেষণাগার আর যন্ত্রপাতি কোথায় ?’ আইনস্টাইন নিজের মাথাটি দেখিয়ে বললেন, ‘এটাই আমার গবেষণাগার।’ আর হাতের পেন্সিল দেখিয়ে বললেন, ‘এই হল আমার যন্ত্রপাতি।’
সংগৃহীত