সৌমিতা রায় চৌধুরী

পর্ব – ১

মঞ্চাভিনয় ছিল বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম। সেলুলয়েড আসে পরবর্তী যুগে। আজ থেকে প্রায় একশো বছরেরও বেশি আগে। সরাসরি মঞ্চাভিনয় না করে চলমান ছবিকে প্রোজেকশন বা অভিক্ষেপণের মাধ্যমে সফলভাবে প্রদর্শনই হল সেলুলয়েডের প্রাথমিক পর্যায়। 

ঠিক কবে এই কাজ শুরু হয়েছিল তা সঠিকভাবে নির্ণয় করা না গেলেও ১৮৯৫ সালে প্যারিস শহরে লুমিয়ের ভ্রাতৃদ্বয় নিজেদের তৈরি ছোট ছোট দশটি চলচ্চিত্র বাণিজ্যিক ভাবে প্রদর্শন করেন। এই ঘটনার পরেই বিশ্বজুড়ে ফিল্ম প্রোডাকশন কোম্পানি প্রচুর পরিমাণে তৈরি হতে থাকে। এক দশকের মধ্যে চলচ্চিত্র সার্বজনীন বিনোদন শিল্পে পরিণত হয়। 

সাদা কালো ক্যামেরায় তোলা নির্বাক এক মিনিট দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র প্রথমদিকে তৈরি হত। পরবর্তীকালে একাধিক শট সম্বলিত কয়েক মিনিট দৈর্ঘ্যের ছবি তৈরি হতে থাকে। ১৮৯৮ সালে ঘূর্ণায়মান ক্যামেরা দিয়ে প্যানিং শট নেওয়া শুরু হয়। ছবির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার নানান কৌশল ব্যবহার হতে থাকে। 

১৯০০ সালে ক্লোজ আপ শটের ব্যবহার শুরু হয়। ১৯০৫ সালে জার্মানির পিটসবার্গে ‘দ্য নিকেলোডিয়ান’ প্রথম স্থায়ী প্রেক্ষাগৃহ, যেখানে শুধুমাত্র চলচ্চিত্রই প্রদর্শন করা হত। চলচ্চিত্র শিল্প তার গ্ল্যামার নিয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রীদের জনপ্রিয়তার রাস্তা খুলে দেয়। এই সময়ে তৈরি হওয়া মার্কিন চলচ্চিত্র গুলি অস্ট্রেলিয়া এবং ইওরোপের বিভিন্ন দেশে শেয়ার মার্কেটের বৃহত্তম ভাগীদার হয়ে দাঁড়ায়। 

চলচ্চিত্রায়নে নতুন নতুন প্রয়োগ কৌশল ব্যবহারের মাধ্যমে আকর্ষণীয়তা বৃদ্ধির প্রয়াস চলতে থাকে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় চলচ্চিত্র শিল্পে এক রূপান্তর ঘটে যায়। ছোট ছবির জায়গায় পূর্ণ দৈর্ঘ্যের কাহিনী চিত্র শুরু হয়। প্রেক্ষাগৃহ বড় হতে থাকে এবং টিকিটের দামও বাড়তে থাকে। চলচ্চিত্র নির্মাতারা বিনোদনের মাধ্যম দিয়ে মতামত প্রকাশের সুযোগ পেয়ে যান। 

ডি ডব্লিউ গ্রিফিথ সেই সময় মার্কিন চলচ্চিত্রে দর্শকদের মধ্যে নাটকীয় উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারতেন। যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া অঙ্গরাজ্যের লস অ্যাঞ্জেলেস শহরের প্রান্তে হলিউড অঞ্চলে তিনিই প্রথম শুটিং করেন, যা পরবর্তী সময়ে বিশ্বের চলচ্চিত্র শিল্পের প্রাণকেন্দ্র হয়ে ওঠে। 

যুক্তরাষ্ট্রে এই সময়ে বছরে গড়ে আটশোটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করা হত, যা সারা বিশ্বের প্রায় বিরাশি শতাংশ ছিল। ১৯২৭ সালে বিশ্বখ্যাত বিনোদন কোম্পানি ওয়ার্নার ব্রাদার্স তৈরি করে ‘দ্য জ্যাজ সিঙ্গার’। এই ছবিতে সম লয়ে সংলাপ ও সম লয়ে সংগীত ব্যবহার করা হয়। এই ছবি মুক্তি পাওয়ার পরে নির্বাক চলচ্চিত্র যুগের অবসান ঘটে। 

১৯২৯ সালের শেষের দিকে হলিউডের সমস্ত ছবিই ছিল সবাক। এই সময়ের চলচ্চিত্রে বাস্তব বিষয় এবং যুদ্ধ সম্পর্কিত বিষয় নিয়ে প্রচুর চলচ্চিত্র তৈরি হয়। এই সময়ে তৈরি চলচ্চিত্র গুলি বিভিন্ন মতামত প্রকাশের মাধ্যম হয়ে ওঠে। 

১৯৫০ সালের আশেপাশে হাউজ আন-আমেরিকান অ্যাক্টিভিটস কমিটি হলিউডে তদন্ত চালিয়ে অনেক কলাকুশলীকে কালো তালিকাভুক্ত করে। এরমধ্যে প্রথিতযশা চলচ্চিত্র শিল্পী চার্লি চ্যাপলিনও এই তালিকাভুক্ত ছিলেন। পরবর্তী সময়ে সমগ্র বিশ্বে বিনোদন শিল্প হিসেবে চলচ্চিত্র অত্যন্ত জনপ্রিয়তা লাভ করে। উন্নত প্রয়োগ কৌশলের আবির্ভাব হয়। 

পর্ব – ২

চলচ্চিত্রের ধারাবাহিকতা আলোচনা করতে গেলে যে জনপ্রিয়তম অভিনেতা আজও সমানভাবে দর্শকের মনে স্থান করে নিয়েছেন তিনি স্যার চার্লস স্পেনসার চ্যাপলিন জুনিয়র, যিনি চার্লি চ্যাপলিন নামেই জগদ্বিখ্যাত। হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের শুরুর সময় থেকে চার্লি চ্যাপলিন অভিনয় ও পরিচালনা দুইই করেছিলেন এবং সাফল্যের স্বাক্ষর রেখেছিলেন। 

ভিক্টরিয়ো যুগে এই ব্রিটিশ অভিনেতা প্রায় পচাত্তর বছরের কর্মজীবনে খ্যাতির শীর্ষবিন্দু স্পর্শ করেছিলেন। তাঁর অভিনীত ছবিগুলো আজও এক আলাদা মাত্রা যোগ করে। 

১৮৮৯ সালের ১৬ এপ্রিল ব্রিটেনের এক নিম্নবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন চার্লি চ্যাপলিন। বাবার অনুপস্থিতি এবং মায়ের অর্থকষ্টের কারণে শৈশবেই তাঁকে কর্মশালায় কাজ করতে পাঠানো হয়েছিল। চোদ্দো বছর বয়সে তাঁর মাকে মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে পাঠানো হলে কৈশোরেই তাঁর একলা পথ চলা শুরু হয়। ওই সময় থেকে ইংল্যান্ডের বিভিন্ন রঙ্গশালায় শিশুশিল্পী হিসেবে অংশগ্রহণ করতেন। মঞ্চাভিনেতা এবং কৌতুক অভিনেতা হিসেবে জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। 

উনিশ বছর বয়সে “ফ্রেড কার্নো” কোম্পানির সাথে যুক্ত হয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। হলিউড চলচ্চিত্র শিল্পের সাথে তাঁর পরিচয় ঘটে। ১৯১৪ সালে কিস্টোন স্টুডিওজের সাথে যুক্ত হয়ে বড় পর্দায় অভিনয় শুরু করেন। তাঁর নিজের সৃষ্ট ভবঘুরে চরিত্র “দ্য ট্রাম্প” চরিত্রের মাধ্যমে পরিচিতি লাভ করেন। 

ফ্রান্স, ইতালি, স্পেন, পর্তুগালে ব্রিটিশ ভদ্রজনোচিত আদব কায়দায় কেতাদুরস্ত ‘ট্রাম্প’ চরিত্রটি দর্শকদের কাছে সমীহ আদায় করে নেয়। চাপা কোট, সাইজে বড় প্যান্ট, বড় জুতো, মাথায় বাউলার হ্যাট, হাতে ছড়ি আর টুথব্রাশ গোঁফ গেট আপটি শিক্ষিত জনমানসে প্রভাব বিস্তার করে।১৯১৮ সালের মধ্যে চার্লি চ্যাপলিন বিশ্বের বিশেষ ব্যক্তিত্বের মর্যাদা লাভ করেন। 

১৯১৯ সালে সহ প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান “ইউনাইটেড আর্টিস্টস” গঠন করেন। তাঁর নির্মিত প্রথম পূর্ণ দৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হল, ‘দ্য কিড’। এই চলচ্চিত্রটি ১৯২১ সালে নির্মিত হয়েছিল। ১৯২৩ সালে নির্মিত হয়েছিল ‘আ উওম্যান অব প্যারিস’। ‘দ্য গোল্ড রাশ’ নির্মিত হয় ১৯২৫ সালে। ১৯২৮ সালে নির্মিত হয় ‘দ্য সার্কাস’। সবকটি চলচ্চিত্রে তিনি তাঁর অভিনয় দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। 

১৯৩০ সালে তিনি সবাক চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। নিজের দায়িত্বে ১৯৩১ সালে নির্বাক চলচ্চিত্র ‘সিটি লাইটস’ ও ১৯৩৬ সালে ‘মডার্ন টাইমস’ নির্মাণ করেন, যা চলচ্চিত্র শিল্পের মাইল স্টোন স্বরূপ। 

১৯৪০ সালে সমকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতির ভিত্তিতে অ্যাডলফ হিটলারকে ব্যঙ্গ করে তৈরি করেন ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’। ওই বছর এবং তার পরবর্তী সময়ে চার্লি চ্যাপলিনকে নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়। সমাজতান্ত্রিকদের প্রতি সহানুভূতিশীল বলে অভিযোগ ওঠে। তাঁর বিরুদ্ধে পিতৃত্বের মামলা চলাকালীন অপর এক মহিলাকে বিয়ে করায় তাঁর বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচার শুরু হয়। এফ বি আই চার্লি চ্যাপলিনের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করলে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে সুইজারল্যান্ডে চলে যান।

১৯১৮ সালে মার্কিন অভিনেত্রী মিলড্রেড হ্যারিসের সাথে চার্লি চ্যাপলিনের বিয়ে হয় এবং এই সম্পর্ক ১৯২১ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এই সময় তাঁদের একমাত্র পুত্র সন্তান জন্মগ্রহণ করে। অপর এক মার্কিন অভিনেত্রী লিটা গ্রে এর সাথে ১৯২৪ সাল থেকে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত দাম্পত্যজীবন যাপন করেছিলেন চার্লি চ্যাপলিন। এই সময়ে তাঁর দুই পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। আরও এক অ্যাকাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত মার্কিন অভিনেত্রী পলেট গডার্ড ১৯৩৬ সালে চার্লি চ্যাপলিনের সাথে বিবাহ সূত্রে আবদ্ধ হন। তিনি চ্যাপলিন অভিনীত ‘মডার্ন টাইমস’ এবং ‘দ্য গ্রেট ডিক্টেটর’-এও অভিনয় করেছিলেন। ১৯৪২ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। ১৯৪৩ সালে নোবেল ও পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী মার্কিন নাট্যকার ইউজিন ওনিলের কন্যা উনা ওনিল চ্যাপলিনের চতুর্থ এবং শেষ স্ত্রী। এই সময়ে তাঁদের তিন পুত্র ও পাঁচ কন্যার জন্ম হয়। 

পরবর্তীকালে তাঁর নির্মিত ও অভিনীত চলচ্চিত্রগুলিতে ‘ট্রাম্প’ সত্তাকে বিসর্জন দেন। এরপর একে একে ১৯৪৭ সালে ‘মঁসিয়ে ভের্দি’, ১৯৫২ সালে ‘লাইমলাইট’, ১৯৫৭ সালে ‘আ কিং ইন নিউ ইয়র্ক’ এবং ১৯৬৭ সালে ‘আ কাউন্টেস ফ্রম হংকং’ চলচ্চিত্রগুলি নির্মাণ করেন। 

নির্বাক চলচ্চিত্র যুগে অন্যতম প্রধান ব্যক্তিত্ব চ্যাপলিন সবাক এবং নির্বাক, দুই ধরনের চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে নিজের মৌলিকত্ব প্রতিষ্ঠা করেছেন। প্রথম দিকের চলচ্চিত্র গুলোতে বিরুদ্ধ পরিবেশের সাথে ‘দ্য ট্রাম্প’-এর সংগ্রামের করুণ রসের সাথে এক কৌতুকময় হাস্যরসের মিশ্রণ ঘটিয়েছেন। কয়েকটি চলচ্চিত্রে সামাজিক ও রাজনৈতিক বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন এবং কয়েকটিতে আত্মজীবনী মূলক বিষয়বস্তু পরিবেশন করেছেন। 

নিজের কাজের প্রতি তাঁর উৎসর্গিত প্রাণ চলচ্চিত্র শিল্পে চিরকালীন মাত্রা যোগ করেছে। ১৯৭১ সালে ফরাসি সরকার লেজিওঁ দনরের কমান্ডার সম্মান প্রদান করে চার্লি চ্যাপলিনকে। ১৯৭২ সালে তাঁকে অ্যাকাডেমি সম্মান সূচক পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৭৫ সালে ব্রিটেনের রাণী এলিজাবেথ তাঁকে ‘নাইটহুড’ সম্মানে ভূষিত করেন। 

দীর্ঘ কর্মজীবনে বহু উত্থান-পতনের সাক্ষী থেকেছেন এই কিংবদন্তি অভিনেতা। চলচ্চিত্র শিল্পের পটভূমি নির্মাণ করেছিলেন চার্লি চ্যাপলিন। পরবর্তীকালে প্রযুক্তির প্রভুত উন্নয়ন হলেও তাঁর মৃত্যুর প্রায় পঞ্চাশ বছরেরও বেশি পরে তাঁর নির্মিত “দ্য গোল্ড রাশ”, “সিটি লাইটস”, ” মডার্ন টাইমস”, “দ্য গ্রেট ডিক্টেটর” চলচ্চিত্রগুলির মধ্যে দিয়ে তিনি অমর হয়ে উঠেছিলেন। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, এই চলচ্চিত্রগুলোকে মার্কিন চলচ্চিত্রের সর্বকালের সেরার তালিকায় প্রায়শই স্থান করে নিতে দেখা যায়। 

ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট চার্লি চ্যাপলিনকে “বিশ্ব সংস্কৃতির অতি উচ্চ ব্যক্তিত্ব” বলে বর্ণনা করে। পরবর্তী সময়ে বিশ্বখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের মধ্যে ইতালিও চলচ্চিত্রকার ‘ফেদেরিকো ফেল্লিনি’ মন্তব্য করেন, “চ্যাপলিন অনেকটা আদমের মত, আমরা সবাই যার উত্তরসূরি”। ফরাসি চলচ্চিত্রকার জাক তাতি বলেন, “চ্যাপলিন না থাকলে হয়তো আমি কখনো চলচ্চিত্র নির্মাণ করতাম না”। 

সুইজারল্যান্ডের কর্সিয়ের-সুর-ভেভিতে চ্যাপলিনের বাড়ি মনোইর দে বানকে “চ্যাপলিনস ওয়ার্ল্ড” নামে একটি জাদুঘরে রূপান্তর করা হয়েছে, যা ২০১৬ সালের ১৭ এপ্রিল থেকে চালু করা হয়েছিল। লণ্ডনের লেস্টার স্কোয়ারে ১৯৮১ সালে উন্মোচিত চ্যাপলিনের “দ্য ট্রাম্প” চরিত্রের একটি ভাস্কর্য রয়েছে। ওই জায়গার একটি রাস্তার নাম “চার্লি চ্যাপলিন ওয়াক”। 

পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ চার্লি চ্যাপলিনকে নানানভাবে সম্মান প্রদর্শন করেছে। ১৯৮১ সালে সোভিয়েত জ্যোতির্বিদ লুদমিলা কারাচকিনা আবিষ্কৃত একটি ছোট গ্রহের নামকরণ করা হয় “৩৬২৩ চ্যাপলিন”। বিশ্বের ছয়টি মহাদেশের অনেক দেশ চ্যাপলিনের পোস্টাল স্ট্যাম্প প্রকাশের মাধ্যমে তাঁকে সম্মান প্রদর্শন করেছে। 

চ্যাপলিনের সন্তানেরা প্যারিসে অবস্থিত চ্যাপলিন কার্যালয় থেকে উত্তরাধিকারের দেখাশোনা করেন। চ্যাপলিনের কাজের নাম, ভাবমূর্তি ও অধিকার রক্ষা করার জন্য ‘অ্যাসোসিয়েশন চ্যাপলিন’ নামে একটি কার্যালয় স্থাপন করেন তাঁর কয়েকজন সন্তান। রয় এক্সপোর্ট এস এ এস ১৯১৮ সালের পর চ্যাপলিনের নির্মিত চলচ্চিত্রের স্বত্ব অর্জন করে। বাবলস ইনকর্পোরেটেড এস এ চ্যাপলিনের ছবি ও নামের স্বত্ব অর্জন করে। 

ব্রিটিশ ফিল্ম ইনস্টিটিউট ‘চ্যাপলিন রিসার্চ ফাউন্ডেশন’ প্রতিষ্ঠা করে। সিনেতিকা দি বোলোগ্নাতে অবস্থিত ‘চ্যাপলিন রিসার্চ সেন্টার’-এ তাঁর ছবি, পাণ্ডুলিপি ও চিঠি গবেষণার জন্য পাওয়া যায়। 

চ্যাপলিনের জীবনী অবলম্বনে রিচার্ড অ্যাটেনব্রো একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করে চ্যাপলিনের জীবনীর ওপরে। সমস্ত পৃথিবী জুড়ে তাঁর নিজস্ব জীবন ও চলচ্চিত্র চরিত্র নিয়ে প্রচুর গবেষণা হয়ে চলেছে। চ্যাপলিন যেহেতু নিজেই একটি প্রতিষ্ঠান স্বরূপ, তাঁকে নিয়ে তাই তাঁর জন্মের ১৩৫ বছর পরেও সমানতালে গবেষণা চলছে। 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *