প্রেম ও বৈরাগ্য

আশিস ভৌমিক

লেখক পরিচিতি

 (জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন ।  প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।

– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)

১৫

কবীর কথা :-

তরবর এক মূল বিন ঠাড়া

বিন ফুলে ফল লাগে

শাখা পত্র নহী কছু তাকে

সকল কমলদল গাজৈ

চঢ় তরবর দো পংছী বোলে

এক গুরু এক চেলা

চেলা রহা সো রস চুন খায়া

গুরু নিরন্তর খেলা

পংছী কে খোঁজ অগম পরগট

কহৈ কবীর বড়ী ভারী

সবহী মূরত বীচ অমূরত

মূরতকী বলিহারী ।

অনুবাদ :-

মূল নাই, অদ্ভুত সে গাছ আছে খাড়া,

ফুল নাই তবু ফলে ভরা।

শাখা নাই, প্রশাখা নাই, অঙ্গে রসের ঢল

পত্র পল্লব কিছু নাই, শোভিছে কমল-দল।

সেই গাছে গান গায় দুটি কবুতর

একটি তার গুরু অন্যটি অনুচর ।

চেলাটি যে ছিল, রসেতে মজিল

গুরু কেবল আনন্দের খেলাই খেলিল ।

.

কবীর বলেন, সেই পক্ষীর সন্ধান অতীব অগম্য

তিনি নিয়ত প্রকাশিত 

সকল মূর্তির মাঝে, তিনি যে বিমূর্ত।

১৬

কবীর কথা :-

“মাটি কা এক নাগ বানাকে 

পুজে লোগ লুগায়া 

জিন্দা নাগ যব ঘড়পে নিকলে 

লে লাঠি ধমকায়া।

জিন্দা বাপ কোয়ি না পুজে 

মরে বাপ পুজবায়া।

মুট্ঠি ভর চাবল লেকে 

কাউয়া কো বাপ বানায়া।”

অনুবাদ :-

মাটির সাপ বানিয়ে মানুষ 

পূজা করে, হায় !

জ্যান্ত সাপ দেখলে তাকে 

লাঠিতে পেটায়

জন্মদাতা বুড়োবাপ 

থাকে অবহেলায়

মরার পর কাক বানিয়ে 

হব্যিষ্যি খাওয়ায় !

দোহা :-

দিপক দিয়া তেল ভরি বাতি দেয়ি আঘাত

পুরা কিয়া বিসাহুনা বহুরি না আউঁ হাট ।

অনুবাদ:-

দীপের ভেতর তেল দিয়েছেন

                                     জ্বলছি দিনে রাতে

সাঙ্গ যেদিন হবে খেলা

                                     ফিরবনা এই হাটে ।

(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *