শুভজিৎ ভাদুড়ী

বাচ্চাটার কান্না যেন স্কুলটাকে কাঁপিয়ে দিচ্ছিল। ফাটিয়ে দিচ্ছিল একেবারে। দো-তলার ঘরে বসে জাহানারা তাকিয়ে ছিল মাঠের দিকে। একটু আগেই দেখতে পাচ্ছিল মাঠ পেরিয়ে ওধারের সরু বারান্দাটা দিয়ে হেঁটে আসছিল ওর মা। কোলে লাল চাদর দিয়ে মুড়িয়ে রাখা ওর বাচ্চা। জাহানারার। বয়স মাত্র এক মাস তিন দিন। তখন অবশ্য কান্নাটা শুনতে পায়নি। এখন মা দৃষ্টিপথের আড়ালে চলে গেলেও জাহানারা বোঝে মা এদিকে এগিয়ে এসেছে আর সেজন্যই সে কান্নাটা শুনতে পাচ্ছে আরও প্রকট ভাবে। আর একটু এগিয়ে এসে মা বসবে ওই ত্রিশ নম্বর ঘরটায়। ওই ঘরটাতেই বসে মা।সঙ্গে কোনওদিন পুলিশের একটা সিভিক দিদি থাকে অথবা স্বাস্থ্য দপ্তরের আশা দিদি। জাহানারা বসে উসখুস করে। হাত খেকে কলম পড়ে যায়। কান্নার শব্দটা ক্রমশ জোরে হচ্ছে অথচ কেউ তাকে এখনও ডাকতে আসছে না। 

পরীক্ষার একেবারে প্রথম দিন জাহানারার আব্বা বলেছিল তো ওকে যেন নীচের ঘরটাতে বসতে দেয়। সিক রুমে। কিন্তু মাস্টার দিল না। ওখানে বসেছে একজনই। রুকসানা। প্রথম পরীক্ষার দিন ওর বাচ্চার বয়েস মোটে এক দিন। তাও সেভাবে দেখলে একদিনও পুরা হয়নি তখনও। কোনও এক নার্সিংহোমে বাচ্চাটা হয়েছিল কি না, তাই জোর করে নিজের দায়িত্বে ছাড়িয়ে নিয়ে এসেছে। ওর এখন খাতির খুব। বোর্ডের লোক ছবি তুলছে। খবরের কাগজের লোক ছবি তুলছে। জাহানারার খাতির নেই। আর এদিকে হয়েছে দ্যাখো বিপত্তি। একটা জানা প্রশ্নের উত্তরও কিছুতেই মনে পড়ছে না। অনেকক্ষণ ধরে ভাবছে জাহানারা। কিন্তু নাহ, কিছুতেই আসছে না। যাক গে, সে না হয় মনে পড়বে। হয় এখন নয় একটু পরে। আজকে হয়েছে কী যখন স্কুলে ঢুকছিল, ছেলেদের লাইনের পাশ দিয়ে হেঁটে হেঁটে আসছিল জাহানারা আর ওর কয়েকটা বান্ধবী, মেয়েদের লাইনে দাঁড়াবে বলে। ছেলেদের লাইনে তখন চেক করছিল মাস্টাররা। একটা ছেলের প্যান্টের সামনে ওই মেটাল যন্ত্রটা ধরতেই ব্যাস, টিক টিক আওয়াজ শুরু করল। 

‘কি আছে প্যান্টের চেনের ভিতরে? এদিকে আয় চেন খোল।’ মাস্টারের কথা শুনতে পেয়ে খিলখিল করে হেসে কুটিপাটি হল কয়েকটা মেয়ে। হুম! তোমরা তো আর জানো না বাবা, ছেলেদের প্যান্টের ভিতর কী থাকে জাহানারা খুব ভালোই জানে। সে কি আর এমনি এমনি! স্কুলে যাতায়াতের পথে দাঁড়িয়ে থাকত যে ওই ছেলেটা। রব্বুল। প্রথম ক’দিন জাহানারা নিজের চোখ দুটোকে ঠুলি পড়া ঘোড়ার চোখের মতো সামনের দিকে রাখত। কিন্তু তারপরে আর পারল না। 

বাংলা পরীক্ষার দিন একটা মাস্টার এসে দাঁড়িয়েছিল জাহানারার খাতার পাশে। খানিকক্ষণ তাকিয়ে ছিল খাতার দিকে। পরদিন ওর মাকে জিগ্যেস করেছিল, ‘মেয়েটাকে দেখে তো মনে হল পড়াশোনা করত। ওর বিয়ে দিলে কেন এই বয়সে?’ 

‘হামি কোথায় দিনু , ওই তো লিজেই ভেগে গেলে।’ 

হ্যাঁ। একদিন স্কুল যাওয়ার জন্যে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে আর ফেরত আসেনি জাহানারা। সোজা গিয়ে উঠেছিল রব্বুলদের বাড়ি। গরিবের ঘর। রব্বুল নিজে বোম্বেতে খাটতে যায়। ওর আব্বাও একসময় খাটত। এখন যেমন খাটে জাহানারার আব্বা। রব্বুলের মা ভয় পেয়েছিল খুব। হাজার হোক নাবালিকা বলে কথা! থানা পুলিশ হলে রব্বুলকে বাঁচায় কার সাধ্যি। 

‘হামি তো স্বেচ্ছায় এসেছি।’ 

‘চুপ কর ছুকরি। স্বেচ্ছার বয়স হয়েছে তোর।’ 

তারপর ফোন নাম্বার নিয়ে ফোন করল জাহানারার মাকে,’মেনে লেন দিদি। আপনারাও গরিব আছনু হামরাও গরিব আছনু। থানা পুলিশ সব টাকা খিঁচে লিবে। মেনে লেন।’ 

জাহানারাও কেঁদেছিল খুব। চোখের জল মাকে টলালেও আব্বাকে টলাতে পারেনি। মুখই দেখত না মেয়ের। এ বছর বোম্বে থেকে ভিডিও কলে নাতির মুখ দেখে তবে গলেছে। 

‘জাহানারা বেগম কে আছে? বাচ্চাকে নিয়ে এসেছে।’ 

মুহূর্তে খুশির ঝলক খেলে যায় জাহানারার মুখে। এই লম্বা বারান্দা দিয়ে হেঁটে যেতে যেতে, তারপর বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে সে নিশ্চয়ই প্রশ্নটার উত্তর মনে করতে পারবে। 

লম্বা বারান্দায় পা দিয়ে দু পা এগোতেই পাশের ঘরের দিকে চোখ যায় জাহানারার। রুপসী খাতুনের সামনে দাঁড়িয়ে মাস্টার বলছে,’কী হল রে? শরীর খারাপ করছে?’ 

জাহানারা এগিয়ে যেতে নিয়েও থমকে গেল। রুপসীর চোখ মুখ ভাল লাগছে না। আর কেউ না জানুক সে জানে রুপসীর পেট হয়েছে দু মাস হল। অবশ্য ম্যাডামরা জানে অনেকেই। ওরা গায়ে পেটে হাত দিয়ে সার্চ করে তো। অনেক সময় মেয়েরা মুখ টিপে হেসে উঠে। 

‘স্যার, একটু মেডিক্যালের দিদিদের কাউকে ডেকে দেন।’ দরজার পাশ দিয়ে যেতে যেতে বলে জাহানারা।  

‘ডেকে দেব আশা দিদিদের কাউকে?’

‘দিলে ভাল হয় স্যার।’

রূপসী পড়াশোনায় বেশ ভাল। স্কুলেও বেশ ভাল রেজাল্ট করত। একদিন দুম করে ওর বিয়ে হয়ে গেল। ও করতে চায়নি। ওর আব্বা চেয়েছিল। রুপসী বলেছিল আমি বিড়ি বেঁধে আমার নিজের খরচ চালিয়ে নিব, কেবল ছাদটা কেড়ে নিও না। আব্বা শোনেনি। মা কাছে ডেকে বুঝিয়েছিল। গরিবের ঘর। আব্বার কথার বাইরে মা যেতে পারত না। বিয়ে হয়ে গেল ক্লাস ফাইভ পাশ সোলেমানের সঙ্গে। সোলেমানও বোম্বে খাটা লেবার । স্কুলে এসে একদিন খুব কেঁদেছিল রূপসী। তারপরে আর কাঁদেনি। আজ আবার রুপসীকে কাঁদতে দেখল জাহানারা। ওর নাকি একটু রক্ত বেড়িয়েছে আর আশা দিদি বলেছে যে বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে গিয়ে থাকতে পারে। নিজের বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে খাওয়াতে রুপসীর কান্না শুনতে পাচ্ছিল জাহানারা। বাপ রে! বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেলে শ্বশুরের ঘরে কি ছাড়বে রুপসীকে! ওকে পরীক্ষাতে বসতেই তো দিতে চাইছিল না কেউ। অনেক কষ্টে বুঝিয়ে সুঝিয়ে পরীক্ষার কটা দিন আসে রূপসী। এর উপর যদি বাচ্চাটা নষ্ট হয়ে যায়! কিন্তু এখন এত কথা ভাববার সময় কোথায়! বাচ্চা মুখ সরিয়ে নিয়েছে দুধ থেকে। বাচ্চার মুখে একটা চুমু খেয়ে জাহানারা আবার লম্বা বারান্দা দিয়ে হাঁটতে শুরু করে। হাঁটতে হাঁটতে মনে করার চেষ্টা করে সেই প্রশ্নটার উত্তর। কিন্তু মনে পরলে তো! হাঁটতে হাঁটতে খিলখিল করে হেসে উঠল জাহানারা। ওদেরই স্কুলের ছেলে সন্তোষকে সাইডে ডেকে প্যান্টের চেন খোলাল মাস্টার। খুলিয়ে একটা ছোট মোবাইল বের করল। মেয়েদের লাইনের শেষে দাঁড়িয়ে শুনতে পাচ্ছিল জাহানারা মাস্টার গাল পারছে সন্তোষকে,’এত সাহস পাস কোথা থেকে? দেব বাতিল করে পরীক্ষা?’ 

হা হাহ! বাতিল! মাস্টার কী আর জানে সন্তোষ সেই কবে থেকেই বাতিল! না হলে সন্তোষ যে ইংরেজিতে নিজের নামটাও পর্যন্ত লিখতে পারে না সেকথা সারা বছরে মাস্টাররা বুঝতে পারল না কেন! এখন সন্তোষের খাতার পাশে গার্ড মাস্টাররা এসে দাঁড়াবে আর এ ওকে আঙুল দিয়ে ঠেলে দেখাবে হায় রে কী অবস্থা কিচ্ছু পারে না, নিজের নামটা পর্যন্ত লিখতে পারছে না! একটা ফ্যাকাশে মুখ নিয়ে বসে থাকবে সন্তোষ। বাতিল সন্তোষ। কেবল ও যখন ট্রাক্টরের স্টিয়ারিং ধরে ভিড় বাজারের মধ্যে দিয়ে নিপুণ ভাবে বের করে নেয় তখন ওর নিজেকে বাতিল মনে হয় না। একই অবস্থা রাইহান আর সুফিয়ানেরও। 

এক একদিন লম্বা বারান্দাটা যেন শেষ হতে চায় না। গ্রিলের ফাঁক দিয়ে ঠাণ্ডা হাওয়া এসে ঝাপটা মারে। হিজাবের মতো করে নেওয়া সাদা ওড়নাটা উড়তে থাকে ফরফর করে। জাহানারা ওড়নাটাকে এরকম হিজাবের মতো করে নেয় ঠিকই, তবে একেবারে  চেপেচুপে আটকে দেয় না। একটা আলগোছ ব্যাপার থাকে। আগে তো এটুকুও করত না। ইদানীং কী হয়েছে সবাই বলছে হিজাব পড় হিজাব পড়। রব্বুলের আব্বা বলছে, চাচা বলছে, হাজী সাহেব বলছে। তাই পড়ে। না হলে দেশ দুনিয়া নিয়ে সেরকম ধ্যান ধারণা জাহানারার নেই। তবে দেশ দুনিয়ারকোন না কোন মসজিদের নীচে মন্দির আর গরু খাওয়ার জন্য পিটিয়ে মারা এসব খবর টুকটাক কানে আসে বটে। কিন্তু জাহানারা সেসবে ততটা বিচলিত হয় না। সে শুধু দেখতে পায় তার বড়দাদা নিমাজুদ্দিন ইদানীং আরও বেশি করে নামাজ পড়ে। চাচাতো ভাই ফাজলে নামাজ পড়তে না গেলে ঘরের ভিতর মুখ লুকিয়ে বসে থাকে। নামাজের সময়ে মসজিদে না গিয়ে রাস্তায় ঘোরাঘুরি করতে লজ্জা পায়। ফজলুল চাচা আগের থেকে বেশি করে ফেজ টুপিটা মাথায় দেয় আর চাচি আরও বেশি করে বোরখা পড়ে। এর থেকে বেশি কিছু দেখার সময় অবশ্য জাহানারার নেই। 

থাকবেই বা কী করে! সেই তো কচি বয়সে পালিয়ে গিয়ে উঠল রব্বুলদের বাড়ি। তারপর ছেলেদের প্যান্টের চেনের ভিতরে যা থাকে তা সামলাতে সামলাতেই বেলা গড়িয়ে গেল। ফের বোম্বেতে খাটতে যাওয়ার আগে অবধি কদিন যে রেহাই দিয়েছিল রব্বুল! প্রথম প্রথম রব্বুলের নীচে যেতে নিশপিশ করত জাহানারা। কিন্তু সে আর কতটুকু সময়! তারপর বাকি যা পড়ে থাকে তা হল চোখের জল। হাজার হোক, বয়সটা তো কম, এত তাড়াতাড়ি বাচ্চা চলে আসবে বুঝতে পারেনি। নাহলে আর একটু সাবধানে চলার চেষ্টা করত। অবশ্য বাচ্চা হয়ে গেছে বা বিয়ে হয়ে গেছে বলে জাহানারা যে সরকারি অনুদানের টাকাগুলো পাবে না তা নয়। পাবে। না দিতে চাইলে? জাহানারার আব্বা আছে না! দলবল নিয়ে একেবারে ভাংচুর চালিয়ে আসবে স্কুলে। হ্যাঁ, এরকম হয় তো। জাহানারার থেকে দুই ক্লাস উপরে পড়ত ফিরদৌসি। ওরও বিয়ে হয়ে গেছিল। স্কুল অনুদানের টাকা পাওয়ার তালিকায় ফিরদৌসির নাম রাখেনি বলে ফিরদৌসির আব্বা হেডস্যারকে কেবল মারতে বাকি রেখেছিল। না না একা নয়, দলবল নিয়ে গেছিল একেবারে। জাহানারার আব্বাও ছিল সেই দলে। জাহানারা তো আব্বার মুখ থেকেই শুনেছে। তারপর ওদের থেকে একক্লাস ওপরে পড়ত যে পিঙ্কি মণ্ডল, ওর বেলাতেও একই হয়েছিল। 

‘স্যর আসব?’  

‘আয়’  

উলটিয়ে রেখে যাওয়া পিচবোর্ডটা আবার সোজা করে নেয় জাহানারা। এই কদিন বেশ ভালই পরীক্ষা দিচ্ছিল। কিন্তু আজকে প্রশ্নের উত্তরগুলো পেটে আসছে কিন্তু কলমের ডগায় আসছে না কিছুতেই। তাই বসে আছে চুপ করে। থেকে থেকেই মনে পড়ছে রূপসীর কথা। মেয়েটা যে কেমন আছে এখন। সত্যি সত্যিই কি অনেক রক্ত বেরোল মেয়েটার। বাচ্চাটা কি নষ্টই হয়ে গেল! কে জানে! এক্ষুনি তো জানার কোনও উপায় নেই! যাই হোক সেইসব সাতপাঁচ না ভেবে জাহানারা আবার প্রশ্নপত্রের দিকে মন দেয়। কিছু কিছু লেখে। কখনও জানালা দিয়ে বাইরে আকাশটার দিকে তাকিয়ে থাকে। একটা শালিখ পাখি অনেকক্ষণ ধরে কার্নিশে চুপটি করে বসে ছিল। এক্ষুনি উড়ে গেল পুঁই করে। এমনি ভাবেই বেশ কিছুটা সময় কেটে যায়। 

জাহানারা খাতুন কে আছে? 

বাচ্চাটা আজকে কাঁদছে খুব। কিছুতেই চুপছে না। তাই জাহানারাকে যেতে হচ্ছে আবার। লম্বা বারান্দা দিয়ে হাঁটছে ও। হাওয়া দিচ্ছে। ওড়নাটা উড়ছে ফরফর করে। চৌত্রিশ নম্বর ঘর মানে যেখানে জাহানারা বাচ্চাকে দুধ খাওয়ায়, আজকে সেখানে বসেই পরীক্ষা দিচ্ছে রূপসী। ডাক্তার দাঁড়িয়ে আছে ঘরের বাইরে। উফ! ভাগ্য দেখ মেয়েটার! অন্য সময় হলে হাসপাতালে গিয়ে পর্যন্ত ডাক্তারকে খুঁজে পেত কি না সন্দেহ! এরকম হয়েছিল তো জাহানারার নিজের দিদি রুকসানার। নার্সরা কত কথা শুনিয়েছিল ট্যাঁরা ট্যাঁরা।

পেটে বাচ্চা এলে কেমন করে চলতে ফিরতে হয় জানিস না?

জানবে কি ওর বাচ্চা নেওয়ার বয়স হয়েছে! 

তারপর স্ট্রেচারেই ফেলে রেখে দিল কতক্ষণ! অনেকক্ষণ পর একটা জুনিয়র ডাক্তার এসে ছুঁয়ে দেখেছিল। আর এখানে দেখ! লাটসাহেবের বেটি! দুয়ার ঘিরে দাঁড়িয়ে আছে ডাক্তার! বলছে ভাল করে পরীক্ষা দে। ভয়ের কিছু নেই। আমি তো আছি! 

মাস্টার বলছে ভাল করে লেখ। তুই তো লিখিস ভাল। আমি দেখেছি।

আর কেউ বলছে পড়াটা ছাড়িস না। কোনও সাহায্য লাগলে বলিস। আমি অফিসার।  

সাহায্য! ফিক করে একটু হাসতে নেবে জাহানারা, এমন সময় ঘণ্টা পড়ল। ঢং ঢং। দুই ঘণ্টা হয়ে গেল। আর এক ঘণ্টা সময় আছে পরীক্ষা শেষ হতে। বাচ্চাটা মুখে দুধ গুঁজে চুপ করে আছে। দুধ ছাড়ালেই কাঁদছে। তাই জাহানারারও ছাড়াতে ইচ্ছে করছে না। খাওয়াতে খাওয়াতেই এবার মাথা নিচু করে ফিক করে হেসে ফেলল ও। 

1 thought on “পরীক্ষার ঘরে জাহানারা যা মনে করতে পেরেছিল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *