গোলাম রসুল
মধ্যরাত
প্রাচীন গলির মুখ গুলোর মতো অন্ধকার
নক্ষত্ররা নেমে এসেছে বায়ুমণ্ডলের ফলগুলোর ধারে ধারে
আর গ্রেনাইটের দানা খুঁটে খুঁটে নিচ্ছে ঘুমন্ত পায়রারা
একটি ঘর্ষণের শব্দ আসছে
আকাশ আর কাফনের ঘর্ষণ
আমার পরিচয় এক অতিরঞ্জিত মানুষ
আমি স্বপ্ন দেখছি
রাত্রিকালীন উদ্ভিদের মতো
আমার শুভ্র মৃত্যুর কাছ থেকে ঘুরে যাচ্ছে চাঁদ
আর আহত সারসের মতো টপ টপ করে পড়ছে চাঁদের হলুদ রক্ত
ঈশ্বরের উদাহরণ দেওয়ার জন্য একজন সেই রক্ত তুলে নিয়ে একটি গ্লাসের মধ্যে রাখছে
আর তা পুনরায় জ্বলে উঠছে পূর্ণ চন্দ্রিমা হয়ে
তরল আলো গড়িয়ে চলেছে ধূসর পানে
আর তার ঈষৎ উগ্রতায় একেএকে জ্বলে উঠছে হাজার হাজার মোম বাতির পঙ্গপাল
তারা ক্ষণিকের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে নেকড়ের দিকে
বিপন্ন শহরের দিকে
দূরগামী জাহাজের দিকে
হঠাৎ মেঘ আর নদীর বিবাহের সময় কেউ একজন হয়ে উঠল বৃষ্টির মতো এক অভিযাত্রী
আমাদের জীবন যেমন একটি ক্ষণস্থায়ী সুসংবাদ
মৃত্যুর ছয়টি ঋতুর পর
ঘুমের মধ্যে আমার ছায়ার মস্তক নড়ে উঠল
পড়ে থাকা সাপের খোলস ফণা উত্তোলন করে অভিবাদন জানল আমার প্রতারিত জীবনের প্রতি
নিরঙ্কুশ সমর্থন জানিয়ে গেল এক নৈঃশব্দ্য
তখনও মহা পলকের মতো রাত্রি
তখনও কৃষ্ণ সাগরের মতো অন্ধকার