মাসুদ খান

যুগের যুগের বহু বিষণ্ণ বিবর্ণ মানুষের দীর্ঘনিশ্বাসের সাথে

নির্গত কার্বন-ডাই-অক্সাইড–

তা-ই থেকে তিলতিল কার্বন কুড়িয়ে

জমাট বাঁধিয়ে, কাষ্ঠীভূত হয়ে

তবে ওই সারি-সারি দিব্যোন্মাদ ডালিমের গাছ।

.

বৃক্ষের সংগতি যতটুকু, তারও বাইরে গিয়ে

তবেই-না ওই টানটান বেদানাবৃক্ষ, ব্যাকুল বেদনাকুঞ্জ,

……………………..মায়াতরু…রূপাঙ্কুর…রূপসনাতন…

পাতার আড়ালে ফাঁকে-ফাঁকে ফলোদয়

থোকা-থোকা গুপ্ত রক্তকুপিত উত্তপ্ত বিস্ফোরণ

রামধনুরঙে, মগ্নছন্দে

ফলিয়ে ফাটিয়ে তোলে ডালে-ডালে লালাভ ডালিম।

.

বসে আছি ম্রিয়মাণ…বেদনাবৃক্ষের নিচে, পড়ন্ত বেলায়।

সামনে খুলে মেলে-রাখা একটি ডালিমফল, তাতে

প্রভূত বেদানা-দানা, নিবিড় বেদনাকোষ…আর,

বেদানার দানারা তো আর কিছু নয়, জানি–  

টলটলে করুণ চোখে রক্তজমা চাবুক-চাহনি…

.

ভাবি,

এতসব ডালিমকোষের মধ্যে, ঠিক কোন কোষটি রচিত 

আমারই সে ন্যুব্জ ব্যর্থ বিষণ্ণ পিতার বাষ্পঠাসা দীর্ঘশ্বাসের কার্বনে!

ঘনীভূত হয়ে ওই বায়ব অঙ্গার, তিলে-তিলে, অনেক বছর ধ’রে…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *