মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ

আশিস ভৌমিক

লেখক পরিচিতি

 (জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন ।  প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।

– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)

৯১

“উমর ভার গালিব ওহি গালতি করতা রাহা

ধুল চেহরে পর থি ওর আয়না সাফ করতা রাহা।”

জীবনভর শুধু একই ভুল করে গেলাম 

চেহারায় ছিল ধুলো, আয়না মুছে গেলাম ।।

৯২

“করয কি পিতে থে ম্যায় লেকিন সমঝতে থে কি হাঁ,

রঙ লায়েগি হামারি ফাকা-মস্তি এক দিন।”

ধার করে খেয়েছি সরাব এ কথাটা সত্য 

হোক্ না প্রতিকূল তবুও উচ্ছাসে রঙিন প্রতিপাদ্য ।

৯৩

“আপনি নশিলী নিগাহো কো জারা ঝুঁকা দিজিয়ে, জনাব,

মেরা মাজহাব মে নেশা হারাম হ্যায়।”

নামিয়ে নাও চোখ নেশাতুর দৃষ্টি 

ধর্মে লাগবে পাপ একথা বোঝো না কী ?

৯৪

“থোড়ি সি পী শরাব, থোড়ি সী উছাল দি,

কুচ ইস তরহ সে হামনে জওয়ানি নিকাল দি।”

পান করেছি শরাব সামান্য , ছলকে পড়েছে কিছু কম

এভাবেই কাটিয়েছি আমি ফেলে আসা বিগত যৌবন ।

৯৫

নাদাঁ হো যো কহতে হো কে কিয়ৌঁ জিতে হ্যায় গালিব

কিস্মত যো হ্যায় মরণে কি তমান্না কোঈ দিন অওর ।

অবুঝ লোকেরা বলে, গালিব কেন বেঁচে এখনও 

ভাগ্যে রয়েছে বাঁচার ইচ্ছে কিছুদিন আরও 

৯৬

মুঝসে তুমহে নফরত সহী নয়ইর সে লড়াই 

বচ্চোঁ কা ভি দেখা না তমাশা কোঈ দিন অওর ।

আমাকে ঘৃণ্য কর, তাই ? সে তো সূর্যের সাথে লড়াই 

শিশুদের তামাশা না হয় আরও কিছুকাল দেখে যাই ।

৯৭

তুম্ মাহ্-এ-শব্-এ-চার্ রহম থে মেরে ঘর কে

ফির কিঁউ ন রহা ঘর কা উয়ো নকশা কোঈ দিন অওর ।

তুই ছিলি মোর ঘরের জ্যোতি আঁধার ঘরে আলো 

রইল না কেন সেই শোভা ঘরে আরো কিছুদিন বলো ।

৯৮

বাজিচা-এ-ইতফাল হ্যায় দুনিয়া মেরে আগে 

হোতা হ্যায় শক্-এ-রোজ তমাশা মেরে আগে ।

এ জগৎ শিশুদের খেলাঘর মানিও

রাতদিন এখানে চলছে তামাশা দেখিও ।

৯৯

কবসে হুঁ কেয়া বতাউঁ জহান-এ-খরাব্ মে

শব্ হ্যায় হিজর কো ভি রখুঁ গর হিসাব মে ।

বহুকাল রয়েছি এই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে 

বিচ্ছেদের রাতকেও কি রাখা যায় ? এই গণনাতে ।

১০০

তুম শহরমে হো তো হমেঁ কেয়া গম, যব উঠেঙ্গে 

লে আয়েঙ্গে বাজার সে যাকর কর দিল্ বহ্ জাঁ অওব ।

এই শহরে থাকলে তুমি আমার কোনো দুঃখ না 

বাজার আনবো ভরে প্রেম পিয়াসী হৃদয়খানা ।

(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *