মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ
আশিস ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
(জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন । প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।
– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)
৮১
নগমহ্ হৈ মহব্বত -এ-সাজ রহ্ নশহ্ হৈ বেনিয়াজ রহ্
রিন্দ্-এ-তমাম্ এ না রহ্ খলক কো পারসা সমঝো ।
সুর আছে ভেসে যাও তার স্রোতে
সুরা আছে ভুলে যাও সব ক্ষত
রূপ আছে মজে যাও তার রূপে
সাধুতা থাক সাধু পুরুষের মত ।
৮২
তেরে ওয়াদে পর জীয়ে হম্ , তো ইয়ে জান ঝুট জানা
কে খুশিসে মরনা যাতে , অগর একবার হোতা ।
বেঁচে আছি তোর প্রতিশ্রুতিতে
আমার প্রান আজ তাই মিথ্যে
হয়তো মরেই যেতাম সুখে
যদি পারতাম ভরসা রাখতে ।
৮৩
বেতলব দে তো মজা উসমে সিবা মিলতে হৈ
বোহ্ গদা জিস্ কো নহ্ হো খু-এ-সবাল অচ্ছা হৈ ।
না চাইতেই তুমি যা দিয়েছ উজাড় করে
সেই তো অমৃত !
কোনও দিন হাত পাতার অভ্যাসই হলনা যার
সেই ভিখারীই শ্রেষ্ঠ ।।
৮৪
হয়্ ভী তসলীম কী খু ভালেঙ্গে
বেনিয়াজি তেরী আদৎ হী সহী ।
সব মেনে নিতে পারি আমিও
উদাসীনতাই যদি তোমার অভ্যাস হয় জানিও ।
৮৫
গিলহ্ হৈ শওক কো দিল মেঁ ভী তঙ্গী-এ-জা কা
গৌহর মেঁ মহব্ হুয়া ইজতরাব দরিয়া কা ।।
অফুরন্ত বাসনা করে হৃদয় মুখর
উত্তাল সমুদ্র ধরা মোতির ভেতর।।
৮৬
মহরম্ নহীঁ হৈ তু-হী নবাহা-এ-রাজ কা
য়াঁ বরনহ্ জো হিজাব হৈ, পর্দ হৈ সাজ কা ।
তোমার রসবোধে ধরা দেয়না অনন্ত রহস্যের বিচিত্র সব রাগ
নইলে রহস্যের আবরন ? সে তো সুরের ঝরনা ধারায় প্রকৃতির প্রেমালাপ ।।
৮৭
রশক্ কহতা হৈ -উসকা গৈর সে ইথলাস , হৈফ্
অকল্ কহতী হৈ- কেহ্ বোহ্ বেমেহের কিস-কা আশনা ।
ঈর্ষা বলে, অন্যের সাথেই তার হৃদ্যতা
বুদ্ধি বলে, সে হৃদয়হীনা পেতে পারেনা কারো মান্যতা।
৮৮
চুপকে চুপকে মুঝকো রোতে দেখ্ পাতা হ্যয় অ্যগ্যর হ্যঁসকে ক্যরতে হ্যয় ব্যয়ান্-এ শওখি-এ গুফ্তার-এ দোস্ত ।
চুপি চুপি এসে যদি দেখতে আমার কান্না ;
তবে দেখতে, হাসতে হাসতে লিখছি বয়ান
করছি কেবল ছলনা।
৮৯
ইশক্ সে তবীয়তনে জীন্ত কা মজা পায়া
দর্দ কী দবা পাই , দর্দ কে বে-দবা পায়া ।
ভালবাসায় পেলাম জীবনের মজা আর সাহারা বেদনার
কিন্তু হায় ! হৃদয় ভেঙে গেলে মেলে না ঔষধ সে ব্যথা ভোলাবার ।।
৯০
বে দর বহ্ দীওয়ার সি এক ঘর বনায়া চাহিয়ে
কোই হমসায়া ন হো অওর পসবাঁ না হো
দেওয়াল নেই দরজা নেই বানাব আমার বাড়ি
পাড়া নেই পড়শি নেই, নেই নজরদারি ।
(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)