মহাদেব মণ্ডল

লেখক পরিচিতি 

জলপাইগুড়ি জেলার ময়নাগুড়ি ব্লকের চূড়াভান্ডার গ্রামে ১৯৯২ সালের ৪ মে মহাদেব মণ্ডল জন্মেছেন। বাবা মঙ্গল মণ্ডল, মা ভাগ্য মণ্ডল। গরুমারা অভয়ারণ্য এবং লাটাগুড়ি জঙ্গলের খুব কাছের গ্রামেই তিনি বড় হয়ে উঠেছেন। তাই প্রকৃতির প্রতি এক গভীর টান তাঁর ছোটবেলা থেকেই। তাঁর চর্চা এবং বিশেষ পছন্দের বিষয় মূলত কথাসাহিত্য এবং লোকসংস্কৃতি। বাংলা ভাষার অন্যতম প্রিয় লেখক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।  পরিবেশ ও প্রকৃতির প্রতি এক অমোঘ আকর্ষণ থেকেই তিনি কিন্নর রায়ের উপন্যাসে পরিবেশ ভাবনা নিয়ে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম.ফিল ডিগ্রী অর্জন করেন। পরবর্তীকালে রচনা করেন ‘কিন্নর রায়ের কথাসাহিত্যে পরিবেশ প্রসঙ্গ’ নামক নিজস্ব গ্রন্থ। এর আগে যুগ্ম-সম্পাদনায় ‘বাংলা ছোটগল্প : বিষয় ও নির্মাণ’ নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়া ‘প্রাজক্তা’ সহ নানা পত্র-পত্রিকার সঙ্গে যুক্ত। তিনি বর্তমানে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে  গবেষণারত।

বিষয় পরিচিতি 

( পরিবেশকে বাঁচানোর জন্য বর্তমানে রীতিমত নানা আন্দোলন যেমন হচ্ছে তেমনি পরিবেশ রক্ষার জন্য সমস্ত দেশের বিজ্ঞানীরা নানা গবেষণাও করে চলেছেন। এ বিষয়ে পরিবেশবিদরা বর্তমানে ভীষণভাবেই চিন্তিত। এই মর্মেই নানারকম প্রবন্ধ নিবন্ধন প্রকাশিত হচ্ছে পত্র-পত্রিকায়। পিছিয়ে নেই সাহিত্যও। তাইতো বর্তমানে পরিবেশকেন্দ্রিক সাহিত্য রচিত হচ্ছে। কবি সাহিত্যিকরা সৃষ্টির মাধ্যমে প্রকাশ করছেন পরিবেশ সম্পর্কে তাদের ভাবনা-চিন্তা। পাঠককে সচেতন করতে সমসাময়িক পরিবেশকেন্দ্রিক সমস্যাকে সাহিত্যের বিষয় করে তুলেছেন তাই তাঁরা। এই ধরনের সাহিত্য পরিবেশ সচেতন সাহিত্য, পরিবেশকেন্দ্রিক সাহিত্য বা পরিবেশবাদী সাহিত্য নামে পরিচিত। এই ধরনের সাহিত্যের সাহিত্যমূলক ছাড়াও একটি পরিবেশগত বা পরিবেশবাদী মূল্য আছে। সাহিত্য সমালোচনায়, সাহিত্য পাঠের তাই নতুন এক প্রস্থান তৈরি হয়েছে পরিবেশবাদী সাহিত্য সমালোচনা বা ইকোক্রিটিসিজম। এই আলোচনায় মূলত বাংলা সাহিত্যের পরিবেশবাদী গল্প নিয়ে আলোচনা করা হবে, দেখার চেষ্টা করা হবে গল্পগুলি কীভাবে ইকো টেক্সট হয়ে উঠেছে। রবীন্দ্রনাথ থেকে শুরু করে বর্তমান সময়ের লেখকরা কীভাবে তাঁদের গল্পের মধ্যে পরিবেশ ভাবনা সম্পৃক্ত করে পরিবেশবাদী সাহিত্য রচনা করে চলেছেন এবং পাঠককে পরিবেশ ভাবনায় মগ্ন করে পরিবেশকেন্দ্রিক সমস্যা সমাধানের জন্য সচেতন করে চলেছেন সেই দিক নির্দেশ করার চেষ্টা করা হবে মূলত এই আলোচনায়। )

পরিবেশকেন্দ্রিক ভাবনায় মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্যের ছোটগল্প ‘জাদুনগরী’

বর্তমান পৃথিবীর সবথেকে বড় সমস্যা পরিবেশ দূষণ এবং রাষ্ট্রনায়কদের সবথেকে বড় চিন্তার বিষয় এই দূষণ কীভাবে হ্রাস করা যায়। এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে প্রকৃতি ঘেরা উত্তরবঙ্গের প্রকৃতি ও পরিবেশও যখন দূষণের কড়াল গ্রাসে আক্রান্ত তখন উত্তরবঙ্গের বুকে বসে একজন মননশীল লেখক যে পরিবেশ নিয়ে ভাবিত হবেন সেটাই স্বাভাবিক। তাইতো সাহিত্যিক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য প্রকৃতি ও পরিবেশের দূষণ নিয়ে গভীরভাবে চিন্তিত। উত্তরবঙ্গের জলপাইগুড়ি জেলায় ১৯৭০ সালে ২রা  আগস্ট তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তারপর স্কুল জীবন অতিবাহিত করে বাণিজ্যে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। পেশায় একজন সরকারি চাকরিজীবী হলেও লেখালেখির প্রতি ঝোঁক ছিল তাঁর বরাবর। ২০০৬ সালে উত্তরবঙ্গ সাংবাদে প্রথম গল্প ‘উজান’ প্রকাশিত হয়। এরপর ‘দেশ’, ‘সানন্দা’, ‘সাপ্তাহিক বর্তমান’ ইত্যাদি পত্র-পত্রিকায় একে একে গল্প প্রকাশিত হতে থাকে। বর্তমানে তিনি উত্তরবঙ্গের একজন বিশিষ্ট লেখক হিসেবে পরিচিতি লাভ করতে পেরেছেন। জলপাইগুড়ি শহরে বসবাস করার দরুন ডুয়ার্সের অমলিন প্রাকৃতিক পরিবেশ তাঁর গল্পে বারবার হাতছানি দেয়। তাঁর গল্পের রন্ধে রন্ধে রয়েছে উত্তরের জলবায়ু প্রাকৃতিক পরিবেশ ও চা বাগান অধ্যুষিত মানুষের জীবন জীবিকার নিখুঁত জলছবি। এ বিষয়ে লেখক তাঁর ‘পঞ্চাশে 50’ গল্প গ্রন্থের মুখবন্ধে নিজেই জানিয়েছেন–“আমার গল্পে অবধারিত ভাবে ছায়া ফেলে তরাই ডুয়ার্সের অমলিন প্রকৃতি। আমার কাহিনির আরশিতে ধরা পড়ে পাহাড়ি জনপদের জলছবি।” উত্তরবঙ্গের পাহাড়, পর্বত এবং জঙ্গল সমস্ত কিছুর উপরেই আজ পড়েছে বিশ্বায়নের প্রভাব। তাইতো লাটাগুড়ির অর্ধেক জঙ্গল আজ অত্যাধুনিক রিসোর্টে পরিণত হয়েছে‌। পাহাড়ে ঘুরতে গিয়ে সেখানে মানবজাতি দূষণে পরিপূর্ণ করে তুলেছে। আর উত্তরের চা বাগানগুলি আজ পিকনিকের সব থেকে জনপ্রিয় জায়গা হয়ে উঠেছে। যার ফলস্বরূপ মানবজাতি দূষণমুক্ত সুন্দর স্বাভাবিক পরিবেশে প্রকৃতির রূপ আস্বাদন করতে গিয়ে প্রকৃতির বুকে আঁচড় বসিয়ে দিয়ে ফিরে আসছে। প্রকৃতির কোলে ঘুরতে গিয়ে মানুষ তার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের প্যাকেট, অপ্রয়োজনীয় জলের বোতল এবং নানা আবর্জনা ছুড়ে ফেলছে অনায়াসেই প্রকৃতির নির্মল বুকে। যার ফলে প্রকৃতি হারাচ্ছে তার রুপ লাবণ্য। উত্তরের প্রতিটি প্রান্তে ঘুরে বেড়িয়ে সেই সব দৃশ্য লেখক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য নিজ চোখে প্রত্যক্ষ করেছেন এবং প্রতিনিয়ত ব্যথিত হয়েছেন। তারই প্রতিবাদের অস্ত্র হিসেবে লেখক ‘জাদুনগরী’ গল্পটি রচনা করেছেন। গল্পের মূলভাবনা প্রকৃতি ও পরিবেশ থেকে শুধু গ্রহণ করে যাওয়া নয় তাকেও কিছু ফিরিয়ে দেওয়া প্রতিটি মানুষের কর্তব্য। সেই বর্ণনা দিতে দিতেই লেখক গল্পের কাহিনিতে পাঠককে করে তুলেছেন প্রকৃতিপ্রেমী এবং গল্পটি হয়ে উঠেছে ইকো-টেক্সট।

       ডক্টর মুখার্জি মেঘমুলুক চা বাগানে কর্মরত। এই যে চা বাগানের নাম মেঘমুলুক তার মধ্যদিয়েই লেখকের পরিবেশ সচেতনতার পরিচয় ফুটে ওঠে। উত্তরবঙ্গ বন-জঙ্গলে পরিপূর্ণ, প্রকৃতিতে দূষণমুক্ত বায়ু, যার ফলে এখানে বৃষ্টিপাতের অভাব নেই। মেঘ তৈরি হতে অসুবিধা হয় না, সেই দিকের ইঙ্গিত পাওয়া যায় এই মেঘমুলুক নামের মধ্যদিয়ে। বড় গাছ পাখিদের বাসস্থান, যা উত্তরবঙ্গে এখনো পর্যন্ত খুব বেশি অভাব নেই। তাই  মেঘমুলুক চা বাগানে পাখিদের প্রচণ্ড কলরব শোনা যায় সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই– ‘…আলোর চাইতে অন্ধকারের ভাগ বেশি হচ্ছে ক্রমশ। কানে আসছে বিচিত্র সব পাখির ডাক। ভুটান পাহাড়ের দিক থেকে ঘরে ফিরছে এক ঝাঁক টিয়া। তাদের কলরব যেন আকাশ ছাপিয়ে যাচ্ছে।’ ২০২০ সালে লেখা এই গল্পে লেখক পাখিদের কলরবের বর্ণনা করেছেন উত্তরের নির্মল প্রকৃতির মাঝে আর লেখক কিন্নর রায় ১৯৯০ সালে ‘প্রকৃতি পাঠ’ উপন্যাসে কলকাতায় বড় গাছের অভাবে পাখিদের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন–“পাখি থাকবে কোথায়? বসবে যে, এমন উঁচু গাছ নেই। তাই মানুষ যত এগোচ্ছে, প্রকৃতি-সবুজ-পাখি তত পেছচ্ছে।”মানুষের উন্নয়নের সাথে সাথেই ফাঁকা জায়গায় তৈরি হচ্ছে বড় বড় অট্টালিকা, গাছ কেটে তৈরি হচ্ছে রাস্তা, শপিংমল। ফলস্বরূপ পাখিরা হারাচ্ছে তাদের বাসস্থান। তাই ক্রমশ পৃথিবী থেকে তারা হারিয়ে যাচ্ছে। যার প্রভাব পড়ছে বাস্তুতন্ত্রে, বিঘ্নিত হচ্ছে ইকোলজিকাল ব্যালেন্স। লেখক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য নদী, সবুজ, অরণ্যে ভরা প্রকৃতিতে বড় হয়ে উঠেছেন এবং প্রকৃতির কোলে বসেই সাহিত্য রচনা করে চলছেন অবিরত। তাই তিনি উত্তরের দূষণমুক্ত আকাশের সঙ্গে কলকাতার দূষিত বায়ুতে পরিপূর্ণ পরিবেশের আকাশের যে পার্থক্য তা অনুধাবন করতে পেরেছেন–‘এখানকার আকাশের সঙ্গে কলকাতার আকাশের কোন তুলনা হয় না। এদিকের আকাশ যেন একটু বেশিই নীল।’ দূষণ মুক্ত আকাশ স্বচ্ছ, তাই উওরে পরিস্কার নীল আকাশ দেখা যায়। অপরদিকে দিল্লী বা কলকাতায় দূষণ এতটাই বেশি বায়ুতে সর্বদা কুয়াশা নয় ধোঁয়াশায় পরিপূর্ণ থাকে, যার ফলে কলকাতায় স্বচ্ছ নীল আকাশের দেখা মেলে না, লেখক সেকথাই পাঠককে স্মরণ করিয়ে দিতে চেয়েছেন।

          মানবজাতি প্রকৃতি থেকে শুধু গ্রহণ করেই চলেছে প্রতিনিয়ত প্রকৃতিকে কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার কথা ভাবেনি কোনদিন। তাইতো ডক্টর মুখার্জি মেঘমুলুক চা বাগানে কাজ করতে এসে প্রকৃতির কাছে যেমন অনেক কিছু পেয়েছে তেমনি কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়ে তৈরি করে এক অন্য ধরনের বাগান। মুখার্জিবাবুর বন্ধু উদ্ভিদবিজ্ঞানী রাধাকৃষ্ণণ তাকে একশো গাছের চারা পাঠায়। সেই চারা রোদ্দুররা তাদের কম্পাউন্ডে লাগায়। এই বাগান তৈরির মধ্যদিয়ে মুখার্জিবাবু প্রকৃতিকে তার পাওনা কিছুটা ফিরিয়ে দিতে চেয়েছেন–‘…ডুয়ার্স আমাদের দিয়েছে অনেকখানি। আমরা এতদিন নিয়েছিই শুধু। এবার সময় এসেছে ঋণ শোধের। এবার আমাদের ডুয়ার্সকে কিছু ফেরত দেবার পালা।’ কিন্তু এই বাগানে যেসব গাছ লাগানো হয় সেই সব গাছ রোদ্দুর এবং তার মার একটাও পরিচিত গাছ ছিল না। তার বাবা বলেন এটাই তো সাসপেন্স একদিন এই বাগান হয়ে উঠবে জাদুনগরী।

        সেই জাদুনগরীর সাসপেন্স প্রকাশিত হয় পঁচিশ বছর পর। তখন রোদ্দুরের বাবা-মা দুজনই চলে গেছে পৃথিবী থেকে অনেক দূরে, সেও এখন বিদেশে থাকে আর তার বন্ধু মুকুট বাবার পেশায় যুক্ত হয়েছে চা বাগানের ম্যানেজার হিসেবে। অনেক বাগান ঘুরে মুকুট এখন মেঘমুলুক চা বাগানের ম্যানেজার। এমন সময় ফেসবুকে মুকুট আর রোদ্দুরের আবার পরিচয় হয়। কথাসুত্রে মুকুট মুখার্জি বাবুর লাগানো গাছ যে আজ কত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে তা রোদ্দুরকে জানায়। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য তার বাবার হাতে নির্মিত বাগান জাদুনগরী দেখার জন্য বন্ধুর আহ্বানে রোদ্দুর মেঘমুলুক চা বাগানে আবার ফিরে আসে। এসে জানতে পারে মুকুটের স্ত্রী উদ্ভিদবিদ্যা নিয়ে পড়ার দরুন এই স্থানীয় সকলের অজানা গাছের নামগুলো উদ্ধার করতে পেরেছে। পরবর্তীকালে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় এবং রাজ্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি দপ্তরের সহযোগিতায় এই বাগানের রক্ষণাবেক্ষণ ও চিহ্নিত করনের সুবিধা হয়। জাদুনগরীতে গুরমার, জিঙ্গাবাইলোবা, টাক্কর, কৃষ্ণবট প্রভূতি গাছ রয়েছে। এই গাছগুলি সাধারণ গাছ নয়। এই গাছগুলি শুধু অক্সিজেন দেয় তাই নয়, এগুলোর রয়েছে আরো অসাধারণ সব গুণ। এপ্রসঙ্গে সাহিত্যিক কিন্নর রায়ের ‘প্রকৃতি পাঠ’ উপন্যাসের একটি কথা স্মরণ করা প্রয়োজন–“একটি গাছ মানুষকে পঞ্চাশ বছরে যত অক্সিজেন দিয়ে যায়, এখনকার হিসেবে তার দাম পনের হাজার সাতশো টাকা। গাছ তো আরও কত কি দেয় মানুষকে-ছায়া, সবুজ, বৃষ্টি, কাব্য। এমনকি জীবনদায়ী ওষুধও।” মানুষের কড়াল গ্রাসে এইসব উপকারী গাছগুলি পৃথিবী থেকে নিশ্চিহ্ন। কিন্তু গল্পের চরিত্র মুখার্জিবাবু একজন ডক্টর তাই তিনি খুব ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলেন এই গাছগুলির গুরুত্ব, তাই নিজের হাতে নির্মাণ করলেন জাদুনগরীর মত অমূল্য এক বাগান।

           ডঃ মুখার্জি চরিত্রটি লেখক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য তাঁর নিজস্ব ভাবনা থেকে নির্মাণ করেছেন। মৃগাঙ্কবাবু ছোটবেলা থেকে উত্তরবঙ্গে বসবাস করেছেন তাই উপলব্ধি করতে পেরেছেন এই উত্তরের বনভূমি হ্রাসের করুণ চিত্র। তিনি দেখেছেন প্রতিনিয়ত বনভূমি হ্রাস করে কীভাবে রিসোর্ট, রাস্তা এবং বাসস্থান গড়ে উঠছে। এই দৃশ্য তাঁকে ব্যথিত করেছে। তাই তিনি অনুভব করেছেন প্রকৃতি থেকে শুধু নিলেই হবে না ফিরিয়ে দিতে হবে জাদুনগরীর মত আরও অনেক অনেক মূল্যবান বাগান। যা প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য যেমন রক্ষা করবে তেমনি মানুষের বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় অক্সিজেন এবং জীবনদায়ী ওষুধের চাহিদা মেটাবে। লেখক তাই গল্পে মুখার্জি চরিত্রের পরিবেশ ভাবনা এবং পরিবেশের প্রতি দায়বদ্ধতা সকল পাঠকদের মধ্যে সঞ্চারিত করে পাঠকদের পরিবেশ ভাবনা সম্পৃক্ত করতে চেয়েছেন গল্প কাহিনিতে। পরিবেশবিদ্যাচর্চা সাহিত্যের প্রতি দায়বদ্ধতা আশা করে, যা সমগ্র গল্প জুড়ে স্পষ্ট লক্ষ করা যায়। তাই গল্পটি একটি সার্থক ইকো-টেক্সট হয়ে উঠেছে।

তথ্যসূত্র: 

১.ভট্টাচার্য, মৃগাঙ্ক : মুখবন্ধ, ‘পঞ্চাশে ৫০’, এখন ডুয়ার্স, জলপাইগুড়ি, অক্টোবর ২০২০, পৃ-৬

২.রায়, কিন্নর: প্রকৃতি পাঠ, দে’জ, দ্বিতীয় সংস্করণ: নভেম্বর ২০০২, কলকাতা-৭৩, পৃ-৯৬

৩.রায়, কিন্নর: প্রকৃতি পাঠ, দে’জ, দ্বিতীয় সংস্করণ: নভেম্বর ২০০২, কলকাতা-৭৩, পৃ-৫৩

আকর গ্রন্থ:

১.ভট্টাচার্য, মৃগাঙ্ক :‘পঞ্চাশে ৫০’, এখন ডুয়ার্স, জলপাইগুড়ি, অক্টোবর ২০২০, 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *