মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ
আশিস ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
(জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন । প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।
– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)
৭১
ইশক্ পর জোর নহীঁ; হৈ য়েহ্ বোহ্ আতশ,গালিব,
জো লগায়ে নহ্ লগে, অওর বুঝায়ে নহ্ বুঝে।।
প্রেমের উপর জোর খাটে না মোটেই , এ সেই আগুন
যা জ্বালালে জ্বলে না,নেভালে নেভে না , এ যেন এক খেয়ালি-ফাগুন ।
৭২
আঁখ কি তসবীর সরমানেপে খেঁচি হ্যায়, কি তা
তুম পে খুল জাবে কি ইসকো হসরতে দীদার হ্যায় ।
লজ্জা তোমার চোখের পাতায় এঁকেছি মানসপটে
তুমি কি বোঝনা প্রেম সে ছবি দেখে দিনে রাতে ।
৭৩
হম্ থে মরনে কো খড়ে পাস না আয়া সহী ,
আখির উস্ শোখকে তরকসমে কোই তির ভী থা ।
প্রান দেব প্রেমে এই সাধ ছিল মনে
সুযোগ যদি পাই
বিবশ হয়ে যাই
চঞ্চলা রূপসীর কটাক্ষ বানে ।
৭৪
রওনক্-এ-হস্তী হই ইশক্ এ খানহ্ ও বীরানহ্ সাজ সে
আঞ্জুমান বেশমা হই গর বক্ পীরমন মেঁ নহী
যে প্রেম বাঁধে ঘর কেড়ে নেয় নগর সেই মূল্যবান
ধানের গোলায় লাগলে আগুন মজলিস শুনশান ।।
৭৫
রোদ মে হৈ রখস্-এ-উমর , কড়া দেখিয়ে থামে
নে হাথ্ বাগ পর হৈ , নহ্ পা হৈ রকাব মে ।।
জীবনের ঘোড়া চলেছে ছুটে , না জানি কোথায় থামবে
আমার হাতে নেইকো লাগাম , না পা আছে রেকাবে ।
৭৬
বুলবুল কে কারোবার মে হৈ ন্দেহা-এ-গুল
কহতে হৈ জিসকো ইশক্, গলদ হৈ দিমাগ কা।।
বুলবুলের কান্ড দেখে ফুল হেসে একাকার
যাকে আমরা প্রেম ভাবি সেটা মস্তিষ্ক বিকার ।।
৭৭
খুলতা কীসি পে কিউ মেরে দিল কা মুআমিলহ্
শেরো কে ইন্তেখাব মে রুসবা কিয়া মুঝে ।
কেই বা জানতো আমার হৃদয় ব্যারাম
কী-কুক্ষনেই যে আমি কবি হতে গেলাম ।।
৭৮
হৈ জবাল আমাদহ্ অজজা আফরীনশকে তামাম
মহর-এ-গরদূ হৈ চীরাগ এ রাহ গুজর এ বাদিয়া ।
সৃষ্টির প্রতিটি অঙ্গই তো ধ্বংসোন্মুখ
ঝোড়ো হাওয়ায় ধরা একটি প্রদীপ -ক্ষনিকের সুখ ।
৭৯
বাগ পা কর খপকানী , ওহ্ ডরাতা হ্যায় মুঝে
সায়া -এ-শাখ-এ-গুল অফ’ ই নজর আতা হ্যায় মুঝে।
তার প্রেমে পাগল আমি বাগিচাও ভয় দেখায়
সাপ ভেবে শিউরে উঠি সুবাসিত ফুলের ছায়ায়।
৮০
আইনা কিউ না দু কি তমাসা কহে জিসে
এইসা কহা সে লাউ কি তুঝসা লয়ে জিসে
তোমার রুপের প্রতিদ্বন্দ্বী তোমার চোখে চোখ রাখে,
বাম কে গান, ডান কে বাম করা সে জন আয়নায় ধরা থাকে।
(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)