মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ
আশিস ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
(জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন । প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।
– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)
৪১
তা ফির ন ইন্তেজার মে নিন্দ্ আয়ে উম্রভর
আনে কা অহদ্ কর গয়েআয়ে যো খোয়াব মে ।
অপেক্ষায় অপেক্ষায় ঘুম আসেনা কোনও রাতে
আসার শপথ করেছে সে আমার কল্পনাতে ।
৪২
গালিব ছুটি শরাব পর ভি কভি কভি
পীতা হুঁ রোজ-এ-অবর ব্ শব-এ-মাহ্তাব্ মে ।
গালিব, ছেড়েছো শরাব তবু কখনও কখনও
মেঘলা দিন চাঁদনি রাতে আসর জমিও ।
৪৩
না থা কুছ, তো খুদা থা,কুছ না হোতা, তো খুদা হোতা;
ডুবোঁয়া মুঝকো হোনে নে,না হোতা ম্যায়, তো ক্যায়া হোতা
যখন কিছুই ছিল না, ঈশ্বর ছিল
কোনো কিছু না হলেও ঈশ্বর হতো।
ডুবিয়েছে সবকিছু আমার এই আমি—
যদি আমি না’ হতাম— কীই বা হতো!
৪৪
এক এক কতরে কা মুঝে দেনা পড়া হিসাব
খুন-এ-জিগর বদিয়ত্-এ-মিজগান্-এ য়ার থা ।
প্রতিটি রক্ত বিন্দুই ছিল আমার হিসেবে
শুধু রক্তিম হৃদয় ছিল বাঁধা তোমার আঁখি পল্লবে ।
৪৫
জিন্দেগী অপনি যব ইস্ শকল্ সে গুজরী গালিব
হম্ ভি কেয়া ইয়াদ্ করেঁ কে খুদা রখ্তে থে ।
জীবন যদি মোর এভাবেই কাটলো
কীকরে যে বলি, ঈশ্বর রেখেছিলো ।
৪৬
গো হাথ্মে জুমবিশ নহী আঁখো মে তো দম্ হ্যায়
রহনে দো অভি সাগর ওহ্ মীনা মেরে আগে ।
হাতে আমার না থাক স্পন্দন, চোখে তো আছে প্রান
সাজিয়ে রেখো রঙিন পেয়ালা, আঁখিপটে অনুপান ।
৪৭
হোতা হ্যায় নিহাঁ গর্দ্ মে সাহারা মেরে হোতে
ঘিসতা হ্যায় জবিন খাক্ পে দরিয়া মেরে আগে ।
যেমনে মরুভূমি বালুতে মুখ ঢাকে
তেমনে লুকায় নদী তৃযিত আমারে দেখে ।
৪৮
উনকো দেখে সে যো আ যাতী হ্যায় মুঁহ্ পর রৌনক্
উয়ো সমঝ্তে হ্যায় কে বীমার কা হাল অচ্ছা হ্যায় ।
তুমি এলে আমার মুখে ঝলমলে রোদ্দুর
ভেবে নাও আমার অসুখেরা বুঝি চলে গেছে বহুদূর ।
৪৯
চলতা হুঁ থোড়ী দুর হর এক তেজ রও কে সাথ্
পহচানতা নহী হুঁ অভি রাহবর কো ম্যায় ।
দ্রুতলয়ে এগিয়ে চলি জীবনের কিছুটা পথ
এখনও হোল না চেনা কে আমার পথ প্রদর্শক ।
৫০
‘রাত-দিন গর্দিশ মে হ্যায় সাত আসমা,
হো রহেগা কুছ না কুছ ঘাবড়ায়ে কেয়া’
রাত-দিন আবর্তনে আছে সাত আসমান
ঘাবড়ে কী লাভ ! জীবন তো বহমান ।
(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)