মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ
আশিস ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
(জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন । প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।
– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)
২১
কিতনা খউফ্ হোতা হ্যায় সাম কে অন্ধেরেমে
পুছ উন পরিন্দোসে জিনকে ঘর নেহি হোতে ।
নির্জন সন্ধ্যার অন্ধকারে মনে যদি জাগে ডর
তবে জেনে নিও সেই পাখিটির কাছে
যার ফেরার ছিল না কোনো ঘর ।
২২
সও বার বন্দ্-এ-ঈশক্ সে আজাদ হম্ হুয়ে
পর ক্যা করে কে দিল হি উদ্ হ্যায় ফরাগ কা ।
শতবার প্রেমের বন্ধন থেকে মুক্ত হয়েছি মানি
কিন্তু হায় ! অবুঝ এ হৃদয় স্বাধীনতা বোঝেনি ।
২৩
হাল -এ- দিল্ নহী মালুম লেকিন ইস্ কদর য়ানী
হম্ নে বারহা ঢুন্ডা , তুমনে বারহা পায়া ।
বুঝিনা হৃদয়ের হাল , শুধু এটুকুই মানি
সারা জীবন খুঁজিলাম , কুড়িয়ে পেলে তুমি ।
২৪
রগোঁ মে দৌড়নে ফিরনে কী হম্ নহী কায়ল
যব আঁখ সে হি ন টপকা , তো ফির লহু কেয়া হ্যায় ।
রক্ত কী কেবল প্রবাহিত স্রোত শিরা উপশিরায় ?
সে রক্ত তবে মূল্যহীন যদি তা চোখে না গড়ায় ।
২৫
অব্ ম্যায় হুঁ অওর মাতম্ এক শহর-এ-আরজু
তোড়া যো তুনে আইনা , তিমসালদার থা ।
এক শহর আশায় আমি নিয়েছি শোকের সাজ
যে আয়না ভেঙে দিলে তাতে ছিল কত না কোলাজ।
২৬
চিপক্ রহা হ্যায় বদন পর লহু সে প্যায়রাহন্
হমারে জেব কো অব্ হাজত-এ-রফু কেয়া হ্যায় ?
জড়িয়ে আছ দেহমনে শিরা উপশিরার বন্ধন
মিথ্যে কর পকেট সেলাই বৃথা আয়োজন ।
২৭
দিল-এ-নাদাঁ তুঝে হুয়া কেয়া হ্যায়
আঁখির ইস্ দর্দ কী দবা কেয়া হ্যায় ।
ওরে অবুঝ মন উতলা কেন আজ
কেউ কী দিতে পারে এ ব্যথার ইলাজ ?
২৮
জী ঢুন্ডতা হ্যায় ফির বহী ফুরসৎ কে রাত দিন
বৈঠে রহে তসব্রবুর-এ-জানা কিয়ে হুয়ে ।
খুঁজে ফেরে এ হৃদয় ফেলে আসা পুরনো ক্যানভাসে
বসে ভাবি দিনরাত প্রিয় মুখ ভেসে আসে ।
২৯
বেদাদ-এ-ঈশক্ সে নহী ডরতা , মগর অসদ্
জিস্ দিল্ পে নাজ থা মুঝে , উয়ো দিল্ নহী রহা ।
প্রেমের অবিচারে পাইনা কোনো ভয় , কিন্তু হায়
রইলো না যে আমার সেই অহংকারী গর্বিত হৃদয় ।
৩০
লাগ্ হো তো উস্ কো হম্ সমঝেঁ লগাও
যব না হো কুছ্ ভি , তো ধোঁকা খায়েঁ কেয়া ?
শত্রুতা থাকলে বুঝি আকর্ষণও আছে
যদি কিছুই না থাকে তবে সম্পর্কটাই মিছে ।
(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)