মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ
আশিস ভৌমিক
লেখক পরিচিতি
(জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন । প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।
– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)
১১
আয়না দেখ আপনা সা মুহ লে কে র্যহ গ্যয়া
সাহিব কো দিল না দেনে পে কিৎনা গুরুর থা ।
আয়নার দিকে চেয়ে খুব না দেমাক ছিল ?
তবে প্রেমিকের কাছে কীভাবে হৃদয় হারালো !!
১২
হামকো মালুম হ্যায় জান্নাত কি হক্বিকৎ লেকিন
দিল কে খুশ রাখনে কো গালিব ইয়ে খ্যয়াল আচ্ছা হ্যায়।
আমাদের জানা আছে স্বর্গটা আসলে কেমন
নেহাত মন্দ না , যদি এতেই খুশি হয়ে যায় মন !
১৩
এক গম আহ কী তো হাজারোকে ঘর জ্বলে
রুখতে হ্যায় ইশকমে এহ অসর হম জিগর জ্বলে।
বেদনা অনলে যখন পুড়ে যায় হাজারো মঞ্জিল
পোড়েনা কেবল সেই প্রেমিক যে হারিয়েছে দিল ।
অথবা
বেদনা অনলে যখন হাজারো ঘর জ্বলে,
তখন উদাসীন থাকে সেই প্রেমিক
যার হৃদয় পুড়েছে প্রেমানলে।
১৪
ইশরতে কাতরা হ্যায় দরিয়ামে ফানা হো যানা
দরদকা হদসে গুজরনি হ্যায় দাওয়া হো যানা।
জলের ফোঁটা তুমি, মিশে যাও সাগরের ঢেউয়ে
নয়তো এক ফোঁটা ওষুধ হয়ে যেও ব্যথা নিরাময়ে ।
১৫
নাদান হো জো ক্যাহতে হো কিঁউ জিতে হো গালিব
মুঝ কো তো হ্যায় মরনে কি তামান্না কোই দিন অওর
কেন বেঁচে আছো ? এই প্রশ্ন নিতান্তই অবান্তর
মৃত্যুর বাসনা নিয়ে থেকে যাব আরো কয়েকটি বছর ।
১৬
হাম নে মহব্বত কে নেশে মে আ কর উসসে খুদা বানা ভালা
হুঁস তব আয়া যব উসনে কাহা কে খুদা কিসি এক কা নেহি হোতা ।
আমি ভালোবাসার নেশায় তাকে দিয়েছি দেবীর মহিমা
হুঁস তো তখন এলো যখন জানলাম দেবী কারো একার না !
১৭
হ্যায় মুঝে আবরে বাহারি কা বরস কর খুলনা
রোতে রোতে গমে ফুরকত মে ফানা হো জানা ।
বসন্ত মেঘের বর্ষণ শেষে উন্মুক্ত আকাশ
যেন বিরহ বেদনার অশ্রুতে ভেজা আমার দীর্ঘশ্বাস ।
১৮
গ্বম-এ হস্তি কা আসাদ কিস সে হো জুয মার্গ ইলাজ
শম্মা হর রঙ্গ মে জ্বলতি হ্যায় শ্যহর হোতে তক
মৃত্যু ছাড়া আর কীসেই বা পরিত্রাণ মেলে
মোম পুড়ে যায় সারা রাত ভোর পাবে বলে ।
১৯
হাজারোঁ খাহিশে এ্যয়সে কে হর খাহিশপে দম নিকলে
বহত নিক্লে মেরে আরমাঁ লেকিন ফিরভি কম নিকলে
হাজারো বাসনা পাপড়ি মেলে মনে সবকটিই প্রাণহরা
মিটেছে অনেক কিছুই তবুও কিছু রয়ে যায় অধরা ।
২০
জান তুম পর নিশার করতা হু
ম্যায় নহী জানতা দুআ ক্যা হ্যায় ।
এ জীবন মন তোমাকেই দিয়েছি ঢেলে
আমি তো বুঝিনা আদৌ প্রার্থনা কাকে বলে ।
(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)