মির্জা গালিবের বাংলা ভাবানুবাদ

আশিস ভৌমিক

লেখক পরিচিতি

 (জন্ম 5 ই এপ্রিল 1974, গ্রাম -বৃন্দাবনচক , পাঁশকুড়া , পূর্ব মেদিনীপুর ।প্রাথমিক পড়াশোনা গ্রামে ।উচ্চ শিক্ষার জন্য কলকাতায় ।সুরেন্দ্রনাথ কলেজ থেকে রসায়ন শাস্ত্রে স্নাতক ।গৃহ শিক্ষকতার ফাঁকে ফাঁকে সাহিত্য চর্চা । বিভিন্ন লিট্ল ম্যাগাজিনে লিখে চলেছেন ।  প্রথম কাব্যগ্রন্থ “”হিরণ্ময়ী ” । দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ” কালবেলা “।

– বুক ভরে নিই শহরের ঘ্রাণ
হৃদয়ে মেঠো পথ, ফলের বাগান।)

তওফিক বাআন্দাযা য়ে হিম্মত হ্যায় আযল সে

আঁখো মেঁ হ্যায় ও কাতরা জো গওহর না হুয়া থা ।

যে বৃষ্টিকনা ফলালো সোনার ফসল সেই কি মূল্যবান ?

যে জলকণা হৃদয় ভেজালো সে অশ্রু মুক্তোর সমান ।।

পাত্তা পাত্তা বুটা বুটা হাল হামারা জানে হ্যাঁয়

জানে না জানে গুল হি না জানে বাগ তো সারা জানে হ্যায় ।

প্রত্যেকটা পাতা প্রতিটা অঙ্কুর জানে আমার হাল 

সারা বাগান জানে, শুধু সেই ফুলই জানল না কোনওকাল ।

কিঁউ জ্বল গ্যায়া না তাবে রুখে য়ার দেখ কর

জ্বলতা হু আপনি তাকতে দিদার দেখ কর

প্রিয়ার রূপের বিভায় যদি পুড়ে ছাই না হতে পারি

তবে নিজের দৃষ্টির শক্তিতে যেন নিজেই জ্বলে মরি!

ফির তেরে কুচে কো জাতা হ্যায় খায়াল

দিলে গুমগশতা মাগার য়াদ আয়া ।

ভাবনা কেবল তোমার গলিতে যেতে চায়

হারানো হৃদয় ফেলে এসেছি তোমার আঙিনায় ।

ইন আবলো সে পাঁও কে ঘাবরা গ্যায়া থা ম্যায়

জি খুশ হুয়া হ্যায় রাহ কো পুরখার দেখ কর

পায়ের এই ফোস্কা দেখে পেয়েছিনু ভয় 

হায় ! পথ ভর্তি কাঁটা দেখে মন খুশি হয় ।

ঘর জাব বানা লিয়া তেরে দর পর কহে বাগ্যয়র

জানেগা আব ভি তু না মেরা ঘর কহে বাগ্যয়র

তোমার দুয়ারে বসতি করেছি তোমাতেই ভরপুর 

ঠিকানা আমার অজানা নয় প্রিয় তবু কেন এতদূর ।

দর্দ মিন্নতশে দাওয়া না হুয়া

হাম না আচ্ছা হুয়ে বুরা না হুয়া ।

বেদনা নিদানের জন্য মিনতি করিনি 

আমি ভালো হলাম না, মন্দ তো হইনি ।

জান দি দি হুয়ি উসি কি থি

হক তো য়ে হ্যায় কি হক আদা না হুয়া ।

যে প্রাণ দিলাম তোমায় সে তো তোমা হতে পাই

তোমাকে যে কিছু দেব সে স্পর্ধা আমার নাই ।

সিনে কা দাগ হ্যায় ও নালা কি লব তক না গ্যায়া

খাক কা রিযক হ্যায় ও কাতরা কি দরিয়া না হুয়া

যে আর্তনাদ ঠোঁটে এলো না সে বুকে দাগ কেটে বসে

যে জলবিন্দু নদীতে পৌঁছলো না মাটি তাকে নেয় শুষে ।

১০

হাম্ হ্যায় মুস্তাক ওউর ওহ্ ভি বে-জার

ইয়া ইলাহি এ মজরা ক্যা হ্যায় !

আমি যত এগিয়ে চলি সে থাকে না আর কাছে

ঈশ্বরই জানেন, তাঁকে ছুঁতে চাওয়া মরীচিকার পিছে ।

(পরবর্তী অংশ আগামী সংখ্যায়)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *