মানস কুণ্ড
জীবনানন্দের ভাগ্য খারাপ ছিল—-
আর বনলতার!
তার ভাগ্য তো সুপ্রসন্ন—-
নাহলে তোমার জন্ম তখন হতো
আর পশ্চিমের আকাশে যখন সূর্য ডুবে যেত
সেই গোধূলির লাল রঙে ছবি আঁকতেন কবি
দেখা যদি হতো একবার কবির সাথে!
মুখোমুখি কোনো এক অস্তরাগে—-
আপন মনে বলতেন তিনি, এতো মায়াবীনি
মানবী নয় এক চপল হরিণী;
চোখ তুলে দুদন্ড দেখে নিতে রাজি তিনি
হিজল পাতার ফাঁকে, ঝাউবনের ‘পরে
যে রূপ তিনি এঁকে ছিলেন আপন মনে
সবকিছু তুচ্ছ মনে হয় এখন আমার কাছে;
একদিন হঠাৎ আহ্বানে সাড়া পারি নাই দিতে
লজ্জা, সংকোচ আর ব্যর্থতার গ্লানিতে—-
কি করতাম গিয়ে!
অন্যের লেখা দুচারটে বই হাতে তুলে দিয়ে
কি বলতাম তখন! ঘর সাজাতে!
আমি কবি নই কখনও
ছোট্ট গ্রামের গন্ডিটাই পারিনি পেরোতে
শহরের আজব কায়দাকানুন শিখিনি এখনও
শরীরে এখনও কাদা লেগে আছে
ভেজা মাটির গন্ধ এখনও যায়নি ঘুচে
একদিন নিশ্চয়ই দেখা হবে মুখোমুখি
যেদিন আঁকতে পারব সেই ছবি—-
যেমনটি আমার কবি এঁকে গেছেন আগে।।